পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এরপর কুমিরটি তাঁর উরুতে কামড় দিয়ে জলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শুরু হয় কুমির আর মানুষের লড়াই। কুমিরের শরীর যেন বুলেট প্রুফ! তাকে কীভাবে ঘায়েল করা যাবে ভাবতে ভাবতেই ক্রেগের চোখ যায় কুমিরের চোখে। তাঁর মনে হয়, কুমিরের শরীরের সবচেয়ে নরম জায়গা বোধ হয় সেটাই। অগত্যা কুমিরের চোখে বুড়ো আঙুল ঢুকিয়ে দেন তিনি। কেমন সে অভিজ্ঞতা? ক্রেগ জানাচ্ছেন, কুমিরের চোখের গভীরে আঙুল ঢোকাতে থাকলে এক সময় তা পাথরের মতো একটা জায়গায় আটকে যায়।
কিছুক্ষণ পরে তিনি কুমিরের পিঠে বসতে সমর্থ হন। সেই অবস্থায় কুমিরের চোয়ালে পিন ফুটিয়ে দেন। কুমিরও মুখ বন্ধ করে দেয়। এরপর তিনি কুমিরটিকে দূরে সরিয়ে দেন। আর কুমিরটিও জলে ফিরে যায়। জানা যাচ্ছে, কুইন্সল্যান্ড পরিবেশ দপ্তর ওই কুমিরটিকে মেরে ফেলেছে। দপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুরো এলাকাটা কুমিরের বাসস্থান। এলাকার মানুষ এই বিষয়ে সচেতন। সমুদ্রের কুমির সাত মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এক হাজার কেজির মতো ওজনের এই কুমিরের গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে দেখা মেলে। ১৯৭০ সালে এই প্রজাতির কুমিরকে সংরক্ষিত বলে ঘোষণার পরে অস্ট্রেলীয় উপকূলে এদের সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। তবে এই প্রজাতির কুমিররা সাধারণত মানুষকে আক্রমণ করে না। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, শেষবার ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কুমিরের আক্রমণের একটি ঘটনা ঘটেছিল। তারও আগে ২০১৭ সালে কুমিরের আক্রমণে একজনের মৃত্যু হয়।