কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কিছু ভারতীয় বংশোদ্ভূত সংগঠন সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং হোয়াটসঅ্যাপে লেবার পার্টিকে আক্রমণ করে ভোটারদের প্রভাবিত করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, একটি ট্যুইট বার্তায় জেরেমি করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টিকে ‘ভারতবিরোধী’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ কেউ আবার এও বলছেন, করবিন প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কের অবনতি হবে।
এর মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমপি তথা ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফ্যারাজ ঘোষণা করেছেন, ২০১৭ সালে কনজারভেটিভ পার্টির জেতা আসনে তাঁর দল প্রার্থী দেবে না। কিন্তু লেবার পার্টির জেতা সব আসনেই তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদিও, কাশ্মীর ইস্যুটি ভোটে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেবার এমপি বীরেন্দ্র শর্মা। একটি বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘মাতৃভূমির ভাগাভাগিকে দূরে সরিয়ে রেখে আজকের ব্রিটেনের উপর আমাদের জোর দেওয়া উচিত। কাশ্মীর সেখানকার মানুষদের বিষয়। এবং ভারতের সংবিধান এবং আইন মেনেই সেখানকার যাবতীয় দ্বন্দ্বের সমাধান হবে। এটা কোনওভাবেই এই নির্বাচনের ইস্যু নয়। আমরা কোন ব্রিটেনে বাস করতে চাই, এবারের নির্বাচনে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ তবে, বিষয়টিকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না ব্রিটেনের পার্লামেন্টের প্রথম পাগড়িধারী শিখ সদস্য তনমনজিৎ সিং ধেসি। ২০১৭ সালে প্রথমবার জয়ী হন এই লেবার এমপি। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বিদ্বেষকে খুবই আশঙ্কাজনক বলে দাবি করেছেন বার্কশায়ারের স্লাও থেকে প্রার্থী হওয়া তনমনজিৎ। জেরেমি করবিনের পেশ করা কাশ্মীর প্রস্তাবনা নিয়ে হওয়া যাবতীয় বিতর্ককে ভুল বোঝাবুঝি বলেই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁর মতে, কোনও ভাবেই ভারতের বিরোধিতা করা তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল না। তাঁরা মানবাধিকারের উপর জোর দিয়েছিলেন। যদিও ওই প্রস্তাবনায় কাশ্মীরকে বিতর্কিত এলাকা হিসেবে মেনে নেওয়া এবং কাশ্মীরিদের রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবনা মেনে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
এদিকে, প্রস্তাবনাটি প্রত্যাহারের জন্য ট্যুইটারে করবিনের উপর চাপ বাড়িয়েছে ‘রেসপেক্ট ব্রিটিশ ইন্ডিয়ানস’ নামে একটি সংগঠন। ১০০-রও বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে তারা। এবারের নির্বাচনে ১৫ লক্ষ ভোট রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের। ফলে তাঁদের হাতে রাখতে চায় সবপক্ষই। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বড় অংশ বরাবরই লেবার পার্টির সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ২০১৫ সালে ডেভিড ক্যামেরনের সময় থেকেই তা চলে যায় কনজারভেটিভ পার্টির ঝুলিতে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, এক্ষেত্রে একটিমাত্র ইস্যুতে ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা আদৌ হচ্ছে না। ব্রেক্সিট, করব্যবস্থা সংস্কার এবং অন্যান্য ইস্যু এবারের নির্বাচনে প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে। এর উপরে জাতীয়তাবাদ বিরোধী আবেগ কাজ করলে সহজেই উপমহাদেশের বংশোদ্ভূতদের ভোটে বিভাজন ধরানো সম্ভব হবে।