পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবারই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দিয়েছে, বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে মন্দির গড়তে কেন্দ্র একটি প্রকল্প তৈরি করবে। অন্যদিকে, মসজিদ তৈরি করে মুসলমানদের জন্য অযোধ্যায় আলাদা একটি ৫ একর জমির ব্যবস্থা করবে উত্তরপ্রদেশ সরকার বা কেন্দ্র। এই রায়ের খবর প্রথম সারির অধিকাংশ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে। এই রায়ে মোদির জয় হয়েছে বলে মনে করছে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’। তারা লিখেছে, ‘কয়েক দশকের বিতর্কিত জমি নিয়ে শনিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট হিন্দুদের পক্ষে রায় দিয়েছে। মোদি ও তাঁর অনুগামীরা যে নতুন করে ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ ভিত্তি থেকে সরিয়ে হিন্দুত্বের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে, তার পক্ষে এটা বড় জয়।’ মারিয়া-আবি-হাবিব ও সমীর ইয়াসির যৌথভাবে এই প্রতিবেদনটি লিখেছেন।
প্রায় একই সুর ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর খবরেও। জোয়ানা স্ল্যাটারের লেখা প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘মুসলমানদের আপত্তি সত্ত্বেও তার রায়ে বিতর্কিত জমি হিন্দুদের দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বড় জয়। হিন্দু জাতীয়তাবাদী ও ভারতের শাসক ভারতীয় জনতা পার্টি দীর্ঘদিন ধরেই অযোধ্যায় হিন্দু দেবতা রামের মন্দির তৈরির চেষ্টা করে আসছে।’ আরও লেখা হয়েছে, ‘গত মে মাসে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন মোদি এবং দ্রুত তাঁর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়িত করছেন। মোদি ও তাঁর দলের কাছে ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্র। দেশের প্রতিষ্ঠাতাদের তৈরি ধর্মনিরপেক্ষ সাধারণতন্ত্র নয়।’
ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর ব্যাখ্যাও প্রায় উনিশ-বিশ। সেখানে অযোধ্যা রায়কে প্রধানমন্ত্রী মোদির জয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিবেদক হান্নাহ এলিস পিটারসন। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘মাত্র ছ’মাস আগে ঐতিহাসিক জয়ের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার আরও একটা বিশাল জয় পেল।’ আরও এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-ও অযোধ্যার খবর প্রকাশ করেছে। তবে, তারা ঘটনাক্রমের কথা তুলে ধরে রিপোর্টের উপরই জোর দিয়েছে। পাশাপাশি, সিএনএন-এ লেখা হয়েছে, ‘বিতর্কিত জমিতে হিন্দুদের মন্দির তৈরির রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।’
অন্যদিকে, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলিতে স্বাভাবিকভাবেই অযোধ্যা রায় নিয়ে নতুন করে হিন্দু-মুসলমান সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ‘ডন’ তার প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘অযোধ্যা রায় ভারতের যুযুধান হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।’ তবে, ‘জিও টিভি’র রিপোর্টে অবশ্য রায়ের সারমর্মই উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও, ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ অযোধ্যা রায়কে প্রধানমন্ত্রী মোদির জয় হিসেবে দেখছে। সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদের জমি হিন্দুদের দেওয়ার রায় দিয়েছে জানিয়ে তারা লিখেছে, ‘এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের জয়।’