গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উঁচু প্রচীরে ঘেরা একটি কম্পাউন্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন সেনারা। সাদা-কালো ভিডিও ফুটেজটি ড্রোন ক্যামেরা থেকে তোলা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। পাশাপাশি, অন্য একটি ভিডিওতে হেলিকপ্টার থেকে হামলারও অংশ বিশেষ দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন মাটি থেকে মার্কিন সেনার হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে। হেলিকপ্টার থেকে তাদের পাল্টা জবাব দেওয়া হচ্ছে। ভিডিওর পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে।
এদিন, অপারেশন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যও তুলে ধরেছেন সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ম্যাকেনজি। তিনি বলেন, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমপ্রান্তের ওই ডেরায় বাগদাদিকে খুঁজে বের করার আগে পাঁচ আইএস জঙ্গিকে খতম করেছে আমেরিকান সেনা। এদের মধ্যে ৪ মহিলা রয়েছে। সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, মার্কিন বাহিনী ওই ডেরা থেকে ১১ শিশুকে উদ্ধার এবং দু’জনকে আটক করেছে। অন্যদিকে, বাগদাদির ডেরা গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগে ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য আইএস প্রধানের দেহাংশ সংগ্রহ করা হয়েছিল। তারপর সামরিক সংঘর্ষের নিয়ম মেনে মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার দেহাবশেষ সমুদ্রে সমাধিস্থ করা হয়।
এদিকে, বাগদাদির মৃত্যুর বদলা নিতে আইএস বড়সড় হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে আমেরিকার প্রশাসন। শীর্ষ আধিকারিকদের মতে, আইএস জঙ্গি সংগঠন এখনও বেশ বিপজ্জনক। তাই বাগদাদির মৃত্যু পরে তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। এপ্রসঙ্গে কেনেথ ম্যাকেনজি বলেন, আইএসআইএস একধরনের নীতিতে বিশ্বাসী। তাই তাদের সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, আইএস জঙ্গিরা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যে কোনও সময় তারা বড় হামলার চেষ্টা চালাতে পারে। মার্কিন সেনা এই ধরনের হামলা ঠেকানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
অন্যদিকে, বাগদাদির মৃত্যুর পর খুব শীঘ্রই তার শূন্যপদ পূরণ করতে চলেছে আইএস। আমেরিকার ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিরেক্টর রাস ট্রাভারসের মতে, বাগদাদির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার মতো একাধিক নেতা রয়েছে আইএসের মধ্যেই। শেষ পর্যন্ত ১৪ হাজার আইএস জঙ্গির নেতা কে হবে, তা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।