ইসলামাবাদ, ১৬ সেপ্টেম্বর (পিটিআই): কাশ্মীর ইস্যুতে এবার প্রভাবশালী মুসলিম দেশগুলিকেও পাশে পেল না পাকিস্তান। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতেও ইমরানকে বারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকারের প্রতিনিধিরা পাক সফরে এসেছিলেন। সেখানেই ইমরানের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাঁরা একথা জানিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি, কূটনৈতিক পথে কাশ্মীর ইস্যুতে বারবার ভারতকে প্যাঁচে ফেলতে গিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের। বিষয়টি সৌদি, আমিরশাহির মতো দেশগুলিরও নজর এড়ায়নি। তাই, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ইসলামাবাদকে ঘুরপথে চেষ্টা চালানোর পরামর্শ দিয়েছে মুসলিম দেশগুলির প্রতিনিধিরা। সোমবার, পাকিস্তানের স্থানীয় এক সংবাদপত্র সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
৩ সেপ্টেম্বর ইসলামাবাদ সফরে এসেছিলেন সৌদির উপ বিদেশমন্ত্রী আদেল আল-জুবের এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা বিন আল-নেহান। একদিনের সফরে তাঁরা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং সেনাপ্রধান জেনারেল কোমার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানেই এই নিয়ে কথা হয় তাঁদের মধ্যে। পাক বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এই বৈঠক হয়। বিদেশমন্ত্রকের শীর্ষ কয়েকজন আধিকারিক ছাড়া কেউই এই বৈঠকে প্রবেশের অনুমতি পাননি। তবে, মুসলিম দেশগুলির এই পরামর্শ খারিজ করে দিয়েছে পাকিস্তান। তারা পাল্টা জানিয়েছে, ভারত যতক্ষণ না পর্যন্ত কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করছে, ততক্ষণ নিজের অবস্থান থেকে সরবে না পাকিস্তান। অন্যদিকে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ২ দিনের সফরে সৌদি যাচ্ছেন ইমরান। সেখানেও কাশ্মীর ইস্যুতে সৌদির রাজপুত্র মহম্মদ বিন সলমনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তারপর থেকেই এই ইস্যুতে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে একের পর এক দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে থাকে ইসলামাবাদ। এই নিয়ে নয়াদিল্লি বেশ কয়েকবার প্রতিবাদও জানিয়েছে। মোদির বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছিলেন ইমরান। বিভিন্ন হিন্দু কট্টরপন্থী সংগঠনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যোগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এতে দুই দেশের সম্পর্কের পারদ আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তাই ইমরানকে বাক সংযমের বার্তা দিল প্রভাবশালী মুসলিম দেশের প্রতিনিধিরা।