গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সাক্ষাৎকারে নিজেকে শান্তিকামী এবং যুদ্ধবিরোধী হিসেবে তুলে ধরেছেন ইমরান। বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়।’ তাহলে কেন আগেভাগে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন? সেকথার স্পষ্ট কোনও উত্তর অবশ্য দেননি ইমরান খান। বলেছেন, ‘এটা খুব পরিষ্কার যে, যখন দু’টি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ হয়, তখন তার পরিণতি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের দিকে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। আল্লা না করুন... পাকিস্তানের সামনে যদি এমন যুদ্ধে হেরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন সামনে দু’টোই রাস্তা খোলা থাকে। এক, আত্মসমর্পণ এবং দুই, শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই। কিন্তু আমি জানি পাকিস্তান আমৃত্যু লড়াই করবে। তখন কিন্তু চরম কিছু একটা হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাবে।’
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যুদ্ধের হুমকি দিলেও কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই তাঁরা সচেষ্ট বলে দাবি ইমরানের। বলেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘ সহ প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফোরামের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও। যদিও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি কোনও দেশ। তবে ৩৭০ ধারা খারিজের পর নয়াদিল্লির সঙ্গে কোনও আলোচনায় যেতে চান না তিনি। পাল্টা ভারতের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদকে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করার চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ভারত ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের কাছে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়াই ভারত সরকারের এজেন্ডা।
এদিকে, এই পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তানের বেশ কিছু রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দল নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ইমরান খানের অনুরোধে তা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার পর সেই পদযাত্রা হবে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর অধিবেশনে বক্তব্য রাখার কথা ইমরানের। সেখানে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সরব হতে পারেন তিনি। একই দিনে সেখানে বক্তব্য রাখবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।