রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রথামাফিক প্রত্যেক বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তাঁর সহযোগীদের সম্মান প্রদানের জন্য একটি বিশেষ তালিকা তৈরি করেন। এই তালিকা সমালোচিত হওয়ার পাশাপাশি প্রভূত প্রশংসাও কুড়োয়। তবে সাধারণভাবে ক্যাবিনেট অফিসের তরফে এই তালিকাটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র এই তালিকায় রয়েছেন মোট ৫৭ জন। তাঁদের মধ্যে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা জেওফ্রে বয়কটের পাশাপাশি রয়েছেন ডঃ রেমি রেঞ্জারও। কনজারভেটিভ পার্টিকে অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি ৭২ বছর বয়সি রেঞ্জার দলের অভ্যন্তরের একটি গোষ্ঠী, ‘কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস্ অব ইন্ডিয়া’র কো-চেয়ারও বটে। তাঁর হাতে গড়া সংস্থা সানমার্ক লিমিটেড লাগাতার পাঁচবার ‘কুইন্স অ্যাওয়ার্ড ফর এন্টারপ্রাইজ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। বাণিজ্য ও সামাজিক কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখায় বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ এমবিই এবং সিবিই সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছিল ডঃ রেমি রেঞ্জারকে। এর আগে, কর্তারপুর করিডরে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য চলতি বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের হাসো গোষ্ঠীর সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করেন ব্রিটিশ শিখ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রেঞ্জার। ২০১৫ সালে ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের উপস্থিতিতে পার্লামেন্ট স্কোয়ারে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির উদ্বোধন করেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন। সেই মূর্তি তৈরির সময়েও বড় অঙ্কের অনুদান দিয়েছিলেন ডঃ রেমি রেঞ্জার।
সানমার্ক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা রেমি রেঞ্জার ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে গুজরানওয়ালায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা, নানক সিং দেশভাগের বিরোধিতা করে প্রাণ হারিয়েছিলেন। বিধবা মা এবং সাত ভাইবোনকে সঙ্গে নিয়ে পাতিয়ালার উদ্বাস্তু শিবিরে জীবন শুরু করেন তিনি। চণ্ডীগড়ের সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক হয়ে ১৯৭১ সালে আইন পড়তে ব্রিটেনে যান রেমি রেঞ্জার। কিন্তু অর্থের অভাবে মাঝপথে পড়া ছাড়তে হয় তাঁকে। শুরু হয় চাকরি জীবন। পরে ১৯৮৭ সালে মাত্র দু’পাউন্ড নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। নিজের সি, এয়ার এ্যান্ড ল্যান্ড ফরওয়ার্ডিং লিমিটেড সংস্থার মাধ্যমে। ১৯৯৫ সালে নিজের রপ্তানি সংস্থা সানমার্ক লিমিটেডের সূচনা করেন রেঞ্জার। ভারত সহ বিশ্বের ১২০টি দেশে ব্রিটেনের জিনিসপত্র রপ্তানি করতে শুরু করেন তিনি। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে তাঁকে হাউস অব লর্ডসের জন্য মনোনীত করায় অত্যন্ত খুশি ডঃ রেমি রেঞ্জার। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহান এই দেশের তরফে আমায় যে সম্মান দেওয়া হচ্ছে, তার জন্য আমি উচ্ছ্বসিত, রোমাঞ্চিত, আনন্দে বিহ্বল। আমার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ঘনিষ্ঠজনরাও অত্যন্ত আনন্দিত। মানুষের জন্য আরও কাজ করতে আমি মুখিয়ে রয়েছি।’
ব্রিটেন সহ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক কাজের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত বেস্টওয়ে গ্রুপের চিফ এগজিকিউটিভ জামির চৌধুরী। পাশাপাশি কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব পাকিস্তানের চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘এই সম্মানে সম্মানিত হয়ে আমি আপ্লুত। ব্রিটেনের আরও উন্নতিসাধন ও অগ্রগতির জন্য আমি বদ্ধপরিকর।’