রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কিন্তু হঠাৎ কেন তাদের এই ভোলবদল, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজধানীতে। সোমবার এই রহস্য ফাঁস করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে তারা জানিয়েছে, জ্বালানি সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। তাই এই নরম মনোভাব। কেমন অবস্থা পাকিস্তানের জ্বালানি মজুতের? রিপোর্ট বলছে, জুলাই মাসের শেষে পাকিস্তানের কাছে পেট্রলিয়ামজাত পণ্যের মজুত রয়েছে মাত্র ২৬ দিনের। যা দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অথচ, যুদ্ধের প্রাথমিক নিয়ম হচ্ছে অন্তত ৭৫ দিনের তেল মজুত রাখতে হয় দেশগুলিকে। আগস্ট মাসের শেষে পাকিস্তানের তৈল শোধনাগারগুলিতে অপরিশোধিত তেলের মজুত রয়েছে মাত্র ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। অথচ, তাদের পূর্ণ ধারণক্ষমতা ৮ লক্ষ ৭ হাজার মেট্রিক টন। ব্যবহারযোগ্য অপরিশোধিত তেল মজুত রয়েছে ২ লক্ষ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন। আর পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার হাল এমনই যে, তা দিয়ে তেল আমদানি করাটাও এখন তাদের তেল সংস্থাগুলির কাছে বাতুলতার সমান। অর্থাৎ, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে খুব বেশিদিন ধরে তা চালিয়ে যাওয়ার মতো ক্ষমতা নেই পাকিস্তানের। তাই হয়তো উত্তেজনার বশে ভারতের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেও, বাস্তব জানতে পেরে সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ।