বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শনিবার চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-২-এর বিক্রম ল্যান্ডারকে সফট ল্যান্ডিং করাতে পারেনি ইসরো। ওরবিটারকে চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করতে পারলেও অবতরণের প্রাকমুহূর্তে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার। তবুও বিজ্ঞানীদের এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু, বিষয়টি নিয়ে ঠাট্টা-তামাশাটি আসে সীমান্তপারের প্রতিবেশী পাকিস্তানের থেকে। তাও আবার তিনি সেদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী। হ্যাশট্যাগে ‘ভারত ব্যর্থ’ লিখে ধারাবাহিক ট্যুইট করেন তিনি। পরিচয় দেন নিচু ও হীন মানসিকতার। এমনকী, সেই সমস্ত অপমানজনক ট্যুইটের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটকের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন পাক মন্ত্রী। উল্লেখ করেন মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। এর পরেই প্রশংসা বা মন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, ফাওয়াদকে রে রে করে সমালোচনায় বিদ্ধ করেন সেদেশের নাগরিকরাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচিত হন তিনি।
একজন বিজ্ঞান মন্ত্রী হয়েও এ ধরনের ‘বিজ্ঞান বিরোধী’ মন্তব্য ফাওয়াদের করা উচিত হয়নি বলে জানিয়েছেন নেটিজেনরা। ফারান রফি নামে এক ব্যক্তি বিজ্ঞানে ফাওয়াদের জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। হ্যাশট্যাগে চন্দ্রযান-২ লিখে তাঁর পাল্টা ট্যুইট, ‘অনুগ্রহ করে টেলিভিশনে কেউ একজন ফাওয়াদের ইন্টারভিউ নিন এবং তাঁকে পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা, মহাকাশ বিজ্ঞান এবং অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে জিজ্ঞাসা করুন। অথবা, শুধুমাত্র চাঁদে সফট ল্যান্ডিংয়ের অর্থ জিজ্ঞাসা করুন।’ পেশায় সাংবাদিক মুবাশির জাইদি লিখেছেন, ‘ওরা (ভারত) তো চন্দ্রযান-২-এর চেষ্টা করেছে। আমরা তো তাও করিনি।’
এখানেই শেষ নয়। ভারতের এই মিশন দেশের বিজ্ঞান গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মোশারফ জাইদি। তাঁর কথায়, ‘চন্দ্রযান-২ অভিযান ভারতের বিজ্ঞানীদের অনুপ্রাণিত করবে এবং বিজ্ঞান গবেষণায় আরও উন্নতি করবে ভারত। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র যুক্তিযুক্ত প্রতিক্রিয়ারই প্রশংসা করা হবে।’ হাসান এ নিয়াজি নামে আরেক ট্যুইটার গ্রাহকের বক্তব্য, ‘ভারতের মহাকাশ অভিযান নিয়ে তামাশা করা শিশুসুলভ। বিশেষ করে যখন মহাকাশ গবেষণায় তাদের সাফল্য আমাদের ঢাকা দিয়ে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে অগ্রগতির কথা চিন্তা করে ভারত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে।’ অন্যদিকে, মুর্তাজা সোলাঙ্গি পাক বিজ্ঞানমন্ত্রীকে ‘হেরো বাচ্চা’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর ট্যুইট, ‘যদি ফয়জাল জাভেদ এবং ফাওয়াদ চৌধুরী চন্দ্রযান-২ নিয়ে কোনও সুস্থ ও সংযত মন্তব্য করতে না পারেন, তাহলে ওঁদের মুখ কুলুপ আঁটা উচিত। হেরো বাচ্চা ছেলের মতো মন্তব্য করার কোনও জায়গা নেই। কারণ, তাঁরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।’