পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, রবিবার ক্যাম্প ডেভিড রিট্রিটে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি ও তালিবান শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু, বৃহস্পতিবার কাবুলের হামলার দায় তালিবান স্বীকার করে নেওয়ার পর তিনি ওই বৈঠক বাতিল করে দিয়েছেন। ট্যুইটারে ট্রাম্প লেখেন, ‘আপনারা সকলেই জানেন, রবিবার তালিবানের শীর্ষস্তরের নেতা এবং পৃথকভাবে আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ক্যাম্প ডেভিডে আমার বৈঠকে বসার কথা ছিল। দুর্ভাগ্যবশত ওরা কাবুলের আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে। ওই হামলায় আমাদের এক জওয়ান সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়। এই পরিস্থিতিতে আমি অবিলম্বে বৈঠকটি বাতিল করেছি এবং শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিয়েছি।’ তাঁর মতে, নিজেদের দর কষাকষির জায়গা পোক্ত করতেই এত খুনোখনি করছে তালিবান। ট্রাম্পের পরামর্শ, ‘এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।’ এখানেই শেষ নয়। তালিবানকে একহাত নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও লেখেন, ‘শান্তি আলোচনা চলাকালীন যদি ওরা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানতে না পারে এবং ১২ জন নিরপরাধ মানুষকে খুন করে, তাহলে আমি মনে করি, ওদের অর্থপূর্ণ কোনও চুক্তি করার ক্ষমতাই নেই।’ আর কতগুলো দশক তালিবান যুদ্ধ চালাতে চালিয়েছে, ট্যুইটে সেই প্রশ্নও করেছেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি কাতারের দোহায় আমেরিকা ও তালিবান প্রতিনিধিদের মধ্যে ন’টি পর্যায়ে শান্তি আলোচনা চলেছিল। এদিকে, এই বিষয়ে ট্রাম্প নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী জালমায় খলিলজাদ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, তালিবানের সঙ্গে ‘নীতিগত’ শান্তি চুক্তি চায় আমেরিকা। ওই প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, ২০ সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তানের মাটি থেকে আমেরিকা তাদের ৫৪০০ সেনা সরিয়ে নেবে। যদিও, এই মর্মে চূড়ান্ত ছাড়পত্র মার্কিন প্রেসিডেন্টই দেবেন বলে জানান খলিলজাদ। বর্তমানে আফগানিস্তানে ১৪ হাজার মার্কিন সেনার মোতায়েন রয়েছে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সেদেশের মাটিতে তালিবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে আমেরিকা।