গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, প্রথম চেষ্টায় অবতরণে সফল না হলেও, ভারত মহাকাশ গবেষণায় কী পরিমাণ প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটিয়েছে, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে তারা লিখেছে, চন্দ্রযান-২ মিশনটি আংশিক ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে, চাঁদের মাটি স্পর্শ করার ক্ষেত্রে সফল দেশগুলির তালিকায় প্রবেশ করতে ভারতকে কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। তবে অরবিটার কাজ করছে।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানও তাদের সংবাদ শিরোরামে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছে। সেই সঙ্গে, ফ্রান্সের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সিএনইএসের প্রতিনিধি ম্যাথু উইসের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে গার্ডিয়ানের সংযোজন, আগামী ২০, ৫০ বা ১০০ বছর পরে মানুষ সম্ভবত যেখানে বসবাস শুরু করবে, ভারত সেখানে যাচ্ছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, ভারতের প্রথম প্রচেষ্টা সম্ভবত ব্যর্থ হলেও, এই মিশন প্রত্যেক ভারতীয়কে গর্বিত করেছে। ল্যান্ডিংয়ে কিছু সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা দেশ ইসরো এবং মিশনের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীদের সমর্থন জুগিয়েছে। পাশাপাশি, চন্দ্রযান-২ মিশনে ভারত যে স্বল্প অর্থ খরচ করেছে, সেই বিষয়টিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রথম সারির এই সংবাদপত্র।
ইসরোর এই মিশনের কম খরচের বিষয়টি উল্লেখ করেছে বিবিসিও। ব্রিটেনের এই সংবাদ সংস্থা লিখেছে, ‘অ্যাভেঞ্জার: এন্ডগেম’ ছবিটি তৈরি করতে এই মিশনের দ্বিগুনেরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও কম খরচে ইসরো মহাকাশ অভিযান করেছে। অপরদিকে, আমেরিকান ম্যাগাজিন উইয়ার্ড লিখেছে, বিক্রম ল্যান্ডার ও প্রজ্ঞান রোভার বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে সাময়িক ধাক্কা হতে পারে। তবে, সব কিছু এখনও শেষ হয়ে যায়নি।