ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
গত মাসে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এর প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মঞ্চে তদ্বির করে পাকিস্তান। নালিশ জানায়, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার দপ্তরের ইউএন হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসকে। যদিও ইসলামাবাদের সেই অভিযোগে বিশেষ আমল দেয়নি কেউই। এবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার বিভাগই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হল। এর ফলে বেশ বেকায়দায় পড়েছে ইমরান খানের সরকার।
প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে বেশ কিছু মানুষ নিঁখোজ হয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের গোপনে বন্দি করে রাখা হচ্ছে এবং গোটা বিষয়টিকে আড়াল করছে পাকিস্তান। এব্যাপারেও রাষ্ট্রসঙ্ঘের হাতে প্রমাণ আছে। স্বাভাবিকভাবেই, ইসলামাবাদের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ইমরান খান সরকার জানিয়েছে, সংবিধান ও আইন মেনেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট-বালুচিস্তানের নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষা করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব রয়েছে ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে ভারতের সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর পড়ল। বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন পাক প্রশাসনের নেতৃত্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তাদের অভিযোগ, কেউ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেই আইএসআই এবং পাক সেনা তাঁর মুখ বন্ধ করতে সবরকমভাবে চেষ্টা করে। অনেক সময় তাঁদের বেআইনিভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে কড়া সেনা প্রহরায় আটকে রাখা হচ্ছে। পাকিস্তানের বালুচ প্রদেশের আন্দোলকারীদের মুখ বন্ধ করতে পাকিস্তান সরকার একই পদ্ধতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বহুদিন ধরে সরব রয়েছে ওয়ার্ল্ড বালুচ অর্গানাইজেশন এবং বালুচ রিপাবলিক পার্টি। তাদের অভিযোগ, সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী, বালুচিস্তানের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনকারীদের অনেকেই এভাবে নিঁখোজ হয়ে যাচ্ছেন।