ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
নির্যাতিতা ওই তরুণী জগজিৎ কাউরের পরিবারের অভিযোগ, বন্দুক দেখিয়ে তাদের মেয়েকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে এবং মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে। নানকানা থানার তরফে মহম্মদ জামিল বলেন, এই ঘটনায় ছ’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাদের মধ্যে আরসালান নামে একজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। সে মূল অভিযুক্ত মহম্মদ হাসানের বন্ধু বলে পুলিস জানিয়েছে। এদিকে আদালতের নির্দেশে শুক্রবারই ওই তরুণীকে লাহোরের শেল্টার হোমে পাঠানো হয়েছে।
কয়েকটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নানকানা সাহিবের শিখ সম্প্রদায় এলাকার যেকোনও গুরুদ্বারে মুসলিমদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাঞ্জাব সরকারের গঠিত ওই কমিটিতে প্রদেশের আইনমন্ত্রী রাজা বাশারাত রয়েছেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে তিনি নাঙ্কানা সাহিবে গিয়েছেন। তাঁরা পাক পাঞ্জাব প্রদেশের ৩০ সদস্যের শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে পাকিস্তানের গুরুদ্বার প্রাবন্ধিক কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল আমির সিং বলেন, নানকানা সাহিবের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। এমনকী নাঙ্কানা সাহিবের গুরুদ্বারগুলিতে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি বলেও তিনি জানান।
অন্যদিকে, জগজিৎ স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিমকে বিয়ে করেছেন বলে তাঁর আইনজীবী শেখ সুলতান পুলিসকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জগজিৎ মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে স্বেচ্ছায় নিজের নাম আয়েষা রাখেন। তারপর তিনি মহম্মদ হাসানকে বিয়েও করেন। তাঁরা জগজিতের পরিবার এবং স্থানীয় পুলিসের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলে লাহোর হাইকোর্টে পাল্টা আবেদন করেছেন। আদালতে জগজিৎও তাঁর বিবৃতি পেশ করেছেন বলে সুলতান জানান। এমনকী তাঁর পরিবার তাঁকে খুন করতে চায় বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ওই তরুণীর এই বিবৃতি জোর করে লেখানো বলে শিখ সম্প্রদায় দাবি করেছে। তারা জগজিৎকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ারও দাবি তুলেছে।