পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই মূর্তি পরিকল্পনা, ডিজাইন ও হেরিটেজ সার্ভিসের ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করেছে ন্যাশনাল প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসালটেন্সি টার্লি। এই উদ্যোগের ব্যাপারে এর ডিরেক্টর এবং কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির প্রধান বব মে জানান, এই প্রজেক্টে কাজ করে আমরা খুবই আনন্দ পেয়েছি। কারণ এই প্রকল্পে টার্লি মূল্যবোধ, সমৃদ্ধির প্রতি দায়বদ্ধতা ও সম্প্রদায়ের প্রতি অবদানের চিরাচরিত ধারা বজায় রেখেছে। পাশাপাশি, এই ঐতিহাসিক প্রকল্পে অংশ হতে পেরে তাঁরা গর্বিত বলেও জানিয়েছেন।
গান্ধীজির ওই মূর্তিটির উচ্চতা হবে ৯ ফুট এবং ওজন ৮০০ কেজি। এটি তৈরি করেছেন প্রখ্যাত শিল্পী রাম ভি সুতার। স্বর্গীয় ঠাকুরদা ভাঞ্জি খাঞ্জি কামানির (১৮৮৮-১৯৭৯) স্মৃতিতে এই মূর্তিটির সমস্ত ব্যয়ভার বহণ করছে কামানি পরিবার। পাশাপাশি, এই কর্মসূচির পাশে দাঁড়িয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ক্যাথিড্রাল, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি কাউন্সিল, ভারতীয় হাই কমিশন। এমনকী, ম্যাঞ্চেস্টার ও বাইরের বেশ কিছু ধর্মীয়, ব্যবসায়িক সহ একাধিক সংগঠন এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, শ্রীমদ রামচন্দ্র ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর আধ্যাত্মিক গুরু। তাঁর থেকেই গান্ধীজি অহিংসা ও আত্মোন্নতির শিক্ষা পেয়েছিলেন। অন্যদিকে, ১৯৩১ সালে ব্রিটেন সফরে এসেছিলেন জাতির জনক। সেই সময় ল্যাঙ্কাশায়ারের কাপড়ের মিলের শ্রমিকদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন তিনি। লন্ডন থেকে ম্যাঞ্চেস্টার হয়ে ব্ল্যাকবার্ন পৌঁছন গান্ধীজি। ভারতীয়রা কেন ব্রিটিশ দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়েছে, সেব্যাপারে শ্রমিকদের বোঝান তিনি। সেই সফরে প্রচুর মানুষ তাঁর অনুরাগী হয়ে ওঠেন।