নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২১ আগস্ট: ‘লুক ইস্ট’ নীতিকে সফল করতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির আস্থা ও সমর্থন আদায়ের প্রয়াস অব্যাহত। সেই প্রয়াসের জেরে কিছুটা ফল মিলতে শুরু করেছে বলে মনে করছে ভারত। আজ কাশ্মীর প্রশ্নে ভারত সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক যথেষ্টই সৌহার্দ্যপূর্ণ। তবে অসমে এনআরসি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অপ্রীতিকর কোনও অনাস্থার জন্ম হবে কিনা সেই আশঙ্কা ছিলই। কাশ্মীরে ৩৭০ নং ধারা নিয়ে এতদিন বাংলাদেশ কোনও মন্তব্যই করেনি। পাকিস্তান ও চীন বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে গেলেও ঢাকার মতামত পাওয়া যায়নি। যা নিয়ে ভারতও উদ্বিগ্ন ছিল। ঢাকার মন বুঝতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার পরই আজ বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, কাশ্মীরে ভারত সরকার যে সিদ্ধান্তই নিক সেটা ভারতের একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। যে কোনও দেশের অধিকার আছে নিজেদের ভূমিকে শান্তিপূর্ণ রাখার। তাই সেক্ষেত্রে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সীমান্তবর্তী এলাকাকে সুরক্ষিত করা।
বাংলাদেশের থেকে এই মর্মে আশ্বাসবাণী পেয়ে ভারত স্বস্তিতে। কারণ কাশ্মীর প্রশ্নে ভারত সবথেকে বেশি ধোঁয়াশায় আমেরিকার মনোভাবে। এর আগেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন তাঁকে নাকি নরেন্দ্র মোদি বলেছেন কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে। ভারত ওই বিবৃতির তীব্র নিন্দা করে। সংসদে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী এরকম কোনও কথাই বলেননি ট্রাম্পকে। আজ আবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সেই একই কথা বলেছেন কাশ্মীর নিয়ে। তিনি কাশ্মীর সসম্যার সমাধানে মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী। কেন বারংবার ট্রাম্প এমন কথা বলছেন তা নিয়ে সরকারের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে।