কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট কুলাস ইহান্নিসের মার্কিন সফরের মধ্যেই মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কাশ্মীরে চলতে থাকা উত্তেজনা প্রশমনে ট্রাম্প কী ভূমিকা নিচ্ছেন, তা জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার ও রাজ্য ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়া নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত। প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে তিনি সাহায্য করতে পারলে খুশি হবেন। তিনি বলেন, ‘চলতি সপ্তাহের শেষে ফ্রান্সে জি-৭ সম্মেলনে আমি এবং নরেন্দ্র মোদি দুজনেই উপস্থিত থাকব। কাশ্মীর নিয়ে আমি মোদির সঙ্গে আলোচনা করব। কাশ্মীরের অবস্থা অত্যন্ত জটিল। দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জটিলতা অব্যাহত। এই জটিলতা নিরসনের জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেই আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হওয়ায় তাঁদের নিজেদের মধ্যে এই মুহূর্তে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই।’
গত দু’দিনে কাশ্মীরের বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি এবং ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চাইলেও ভারত যে তা মানবে না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। কাশ্মীর ইস্যুকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও মন্তব্য করেছেন মোদি।
কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানকে কার্যত মান্যতা দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ দপ্তরের এক আধিকারিকও। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও চায় কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান সরাসরি আলোচনা করুক। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের উচিত সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রোধে আরও বেশি সক্রিয় হওয়া।