কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সোমবার আফগানিস্তানের শততম স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। সেই উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। সেখানে কাবুলে বিয়ের অনুষ্ঠানে জঙ্গিহানা পরবর্তী সন্ত্রাসদমন নিয়ে কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন তিনি। ঘানি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতিটি রক্তের ফোঁটার বদলা নেব। আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। আমরা বদলা নেব এবং তাদের সমূলে উৎখাত করব।’ দেশের স্বাধীনতা দিবসের দু’দিন আগে কাবুলে এই জঙ্গিহানা অনুষ্ঠানের জৌলুস নষ্ট করে দিয়েছে।
এই জঙ্গিহানার পর আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তালিবান জঙ্গি সংগঠন। বিবৃতি দিয়ে তারা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ আমেরিকা। আরেকটি বিবৃতি দিয়ে তালিবান স্লোগান তুলেছে, ‘আফগানদের জন্য আফগানিস্তানকে ছেড়ে দেওয়া হোক।’ অন্যদিকে, আফগানিস্তানে শান্তিস্থাপন প্রক্রিয়ার সঙ্গে কাশ্মীরকে জুড়ে দেওয়ার পাকিস্তানি ‘চক্রান্তে’র তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কাবুল। বিষয়টিকে পাকিস্তানের ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আমেরিকায় নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত রোয়া রহমানি।
গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকায় নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ খান বলেন, ভারত-পাকিস্তান নয়া উত্তেজনার মধ্যে আফগানিস্তান সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে কাশ্মীর সীমান্তে মোতায়েন করতে পারে ইসলামাবাদ। তা হলে আমেরিকা ও তালিবানের মধ্যে চলা শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করেছে পত্রিকা। তারপর পাকিস্তানের এহেন বিবৃতিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ আখ্যা দিয়েছে আফগানিস্তান। সেদেশের রাষ্ট্রদূত রহমানি বলেছেন, ‘কাশ্মীরে উদ্ভূত পরিস্থিতির সঙ্গে আফগানিস্তানের শান্তিপ্রক্রিয়া জুড়ে দেওয়ার যে কোনও বিবৃতি বেপরোয়া, অন্যায্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন।’