বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নিহত চিকিত্সক - গবেষক দম্পতি অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রায় দু’দশক আগে তাঁরা আমেরিকায় চলে যান। ডা. যশবীর খুরানা টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজির বিভাগে পড়াতেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বোন প্যাথলজি নিয়ে পড়াশুনো করেছিলেন। অন্যদিকে, যশবীরের স্ত্রী দিব্যা সেন্ট ক্রিস্টোফার হাসপাতালে শিশু চিকিত্সক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন যশবীর ও দিব্যার এক মেয়ে কিরণও। গতবছর তিনি ব্রায়েন মাওয়ারের হ্যারিটন হাইস্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েট হন। থিয়েটার নির্দেশনা ও জাতীয় স্তরে স্কোয়াশ টিমে বেশ নামডাক করেছিলেন কিরণ। খুরানা দম্পতির আরেক মেয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে ছিলেন না। তিনিই এই মুহূর্তে পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য। এদিকে, চিকিত্সক দম্পতির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁদের সহকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী এবং পড়শিদের মধ্যে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এনটিএসবি। এই বিষয়ে সংস্থার এয়ার সেফটি তদন্তকারী অ্যাডম গেরহার্ডট বলেন, তদন্ত শেষ হতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। প্রাথমিক রিপোর্ট পেতে ১০-১৫ দিন সময় লাগবে। তবে, চূড়ান্ত রিপোর্ট পেতে প্রায় এক বছর লেগে যাবে। অপরদিকে, দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে আপার মোরল্যান্ড পুলিসের প্রধান মাইকেল মারফি জানান, মাটি ছোঁয়ার আগে বিমানটির সঙ্গে একাধিক গাছের ধাক্কা লাগে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাড়ির বাগানও তছনছ করে দেয় সেটি। অনেকটা এলাকার মধ্যে বিমানটির ধ্বংসস্তুপ পাওয়া গিয়েছে। জনবহুল জায়গায় বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলেও কোনও বাড়িতে সেটি আঘাত করেনি। এটা সত্যিই মিরাকেল।