পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার দুই ডেমোক্র্যাট সেনেটর সেন রবার্ট মেনেন্ডেজ এবং ইলিয়ট এঞ্জেল একটি যৌথ বিবৃতি দেন। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য অবশ্য করা হয়নি তাতে। কিন্তু খুব পরিষ্কার করে পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তারা যেন বাড়াবাড়ি না করে।
কী আছে ওই বিবৃতিতে? বলা হয়েছে, ‘পাল্টা আগ্রাসন দেখানো থেকে পাকিস্তানকে বিরত থাকতেই হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশে মদত দেওয়ায় বন্ধ করা। বরং নিজেদের মাটিতে যে সব জঙ্গি ঘাঁটিগুলি রয়েছে, সেগুলি ধ্বংস করতে উদ্যোগ নিক পাকিস্তান। আর সেই উদ্যোগ যেন সবার চোখে পড়ে।’ মার্কিন আইনসভার ফরেন রিলেশনস কমিটির র্যাঙ্কিং মেম্বার মেনেন্ডেজ এবং হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এঞ্জেলের মতো দুই প্রভাবশালী সেনেটরের এই যৌথ বিবৃতি যে ভারত-পাক চলতি উত্তেজনায় নয়াদিল্লিকে এককদম এগিয়ে রাখবে, তা বলাই বাহুল্য।
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, এই মন্তব্য করে বেশ বিতর্ক জড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সেই দাবি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিল। এর ফলে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে, এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়। কিন্তু বুধবার দুই মার্কিন সেনেটরের যৌথ বিবৃতি সেই আশঙ্কায় জল ঢেলে দিল বলেই মত কূটনৈতিক মহলের। বিশেষ করে অনুপ্রবেশ এবং জঙ্গিদমন নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে। একইসঙ্গে মার্কিন বিদেশ দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, কাশ্মীর সমস্যা মেটানোর জন্য ভারত-পাকিস্তানের সরাসরি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পক্ষেই তারা সওয়াল করবে।
তবে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া, রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত করা—মঙ্গলবার ভারতীয় সংসদে পাশ হওয়া এই বিল নিয়ে খুব সাবধানী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এই দুই সেনেটর। যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, ‘বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় সব নাগরিককে সমমর্যাদা, সমঅধিকার, সমগুরুত্ব দেওয়ার সুযোগ পায় ভারত। গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হল স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণ। আমাদের আশা, ভারতীয় সংসদ সাম্প্রতিক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে এইসব সুযোগ দিতে আরও সুবিধা হবে।’