কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
ভারতের প্রথম পর্বের উদ্যোগপতিদের মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর। পরবর্তী সময়ে নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ হিসেবে দ্বারকানাথ ঠাকুরকে মানুষ চিনলেও বাংলার নবজাগরণেও তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। শুধু তাই নয়, স্বপ্রতিভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ব দরবারে পরিচিতি পাওয়ার অনেক আগেই উদ্যোগপতি হিসেবে ভারতে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে নিজের অবদান রেখেছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর। মানুষের স্মৃতিতে তা সেভাবে ঠাঁই না পেলেও বাংলার আমূল পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলেন ঠাকুর পরিবারের এই সদস্য। মানুষের স্মৃতির মতোই ভগ্নদশা হয়েছিল উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের গ্র্যান্ড ইউনিয়ন ক্যানালের কেনসাল গ্রিন সমাধিক্ষেত্রে থাকা দ্বারকানাথ ঠাকুরের সমাধিস্থলের। গত বছর তা সংস্কারে এগিয়ে আসে বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন এবং লন্ডন শারদোৎসব সংস্থা। সহযোগিতার হাত বাড়ায় ফ্রেন্ডস অব কেনসাল গ্রিন সিমেট্রি। তখনই ঠিক হয়, প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে একসঙ্গে মিলে দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মরণসভা আয়োজন করা হবে। এবছরের স্মরণসভায় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের ২২৫তম জন্মবার্ষিকীও উদ্যাপন করা হয়। এই স্মরণসভায় যোগদান করার পাশাপাশি ভারতীয় হাই কমিশনের কাউন্সেলর মহম্মদ রশিদ খান এবং ফ্রেন্ডস অব কেনসাল গ্রিন সিমেট্রি’র তরফে হেনরি ভিভিয়ান-নেইল বক্তব্যও রাখেন। এরপর সকলে মিলে একসঙ্গে ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গান গাইতে গাইতে সমাধিস্থল থেকে গির্জায় যাওয়া হয়। সেখানে স্ত্রী দিগম্বরী দেবীর সঙ্গে দ্বারকানাথ ঠাকুরের সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রাখেন গবেষক ডঃ সাগরিকা গোলদার। দ্বারকানাথ ঠাকুরের জন্ম ও ছোটবেলার উপরে বক্তব্য রাখেন বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৌরভ নিয়োগী। দ্বারকানাথ ঠাকুরের জীবনযাত্রা নিয়ে বক্তব্য রাখেন বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অমিত গুহ। ফোনে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের ২২৫তম জন্মবার্ষিকীতে নিজের দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানান রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন তনুশ্রী গুহ, অনামিকা সরকার, মহুয়া বেজ, সোমবৃতা দাস এবং অমিত গুহ। পাশ্চাত্য সঙ্গীতের প্রতি দ্বারকানাথের ভালোবাসার কথা স্মরণ করে বিঠোভেনের সিম্ফনি বাজিয়ে শোনান অমিত দে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবিত ও মৃত’ পাঠ করেন কৌশিক চ্যাটার্জি। লন্ডন শারদোৎসব সংস্থার সভাপতি অনির্বান মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এনিয়ে দ্বিতীয়বার বেঙ্গলি হেরিটেজ ফাউন্ডেশন ও লন্ডন শারদোৎসব একসঙ্গে দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতি উদ্যাপন করল। দ্বারকানাথ ঠাকুরের সমাধিস্থলের কথা যেভাবে ব্রিটেনে বসবাসরত ভারতীয়দের মধ্যে প্রচারিত হচ্ছে, তা দেখে আমরা অত্যন্ত খুশি।’ সব শেষে ‘আগুনের পরশমণি’ গান গাওয়ার মধ্যে দিয়ে দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।