কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
বেজিংয়ের সব মুসলিম রেস্তরাঁ ও ফুড স্টলগুলিকে প্রশাসনিক স্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সাইন বোর্ড থেকে ইসলাম সংক্রান্ত ছবি ও প্রতীকগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে। রাখা যাবে না অর্ধচন্দ্রের প্রতীক। মুছে ফেলতে হবে আরবি হরফে লেখা ‘হালাল’ শব্দও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি নুডল শপের ম্যানেজার বলেন, সরকারি দপ্তরের কর্মীরা এসে বলেন, এসব বিদেশি সংস্কৃতি। আপনাকে আরও বেশি করে চীনা সংস্কৃতির ব্যবহার করতে হবে। ওই ম্যানেজারকে সাইন বোর্ডে আরবিতে লেখা ‘হালাল’ শব্দটি ঢেকে দিতে হয়। সরকারি কর্মীদের উপস্থিতিতেই তা করতে হয় তাঁকে। একই অভিজ্ঞতা বেজিংয়ের অন্যান্য মুসলিম রেস্তরাঁ ও খাবারের দোকানগুলির।
চীনে মোট ২ কোটি মুসলিম মানুষের বাস। এমনিতে সরকারিভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা স্বীকৃত। তবে ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিবর্তে দেশের মানুষ যাতে কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শ মেনে চলেন, সেই লক্ষ্যে সরকারি স্তরে প্রচার চলে। ঘটনাচক্রে ২০১৬ সাল থেকে চীনা সংস্কৃতি প্রসারের নামে সরকারি স্তরে বিভিন্ন উদ্যোগ আরও গতি পায়। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এর আগে মসজিদগুলিকে বলা হয়েছিল, পশ্চিম এশিয়ার ইসলামি স্থাপত্যের পরিবর্তে অনুসরণ করতে হবে চীনা সংস্কৃতির প্যাগোডা ঘরানার নির্মাণকাজ। মুসলিম রেস্তরাঁ ও ফুড স্টল থেকে আরবি হরফ ইসলামি প্রতীক সরানোর ফরমান সেই উদ্যোগেরই অংশ। শুধু মুসলিমরা নন, এর আগে সরকারি অভিযানের মুখে পড়তে হয় খ্রিস্টানদেরও। গোপনে চলা বহু চার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়।