কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে ওসামা বিন লাদেনকে খতম করে আমেরিকা। তার পর থেকেই আল কায়েদার উত্তরাধিকার হিসেবে নিজেকে সামনে আনে হামজা। জেহাদে শামিল হতে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলিকে জোট বাঁধার আহ্বান রেখে একটি ভিডিও ফুটেজ সম্প্রচারও করে সে। সেই ভিডিও ফুটেজে নিজেকে ‘জেহাদের রাজকুমার’ হিসেবেও তুলে ধরেছিল হামজা। বাবাকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে আমেরিকাকেই মূল শত্রু চিহ্নিত করেছিল সে। ২০১৭ সালে হামজাকে জঙ্গি হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করে আমেরিকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হামজার মাথার দাম ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার ঘোষণা করে মার্কিন প্রশাসন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হামজার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে এই ঘোষণার আগেই। তখন অবশ্য হামজার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য ছিল না মার্কিন প্রশাসনের হাতে। অর্থাৎ হামজা কোথায় রয়েছে, তা নিয়ে চরম ধন্দে পড়েছিল আমেরিকা। কারণ, হামজা নিজেই তার সঠিক অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়িয়েছিল। ইরানে তার গৃহবন্দির খবর যেমন ছড়িয়েছিল, তেমনই পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং সিরিয়ায় আত্মগোপন করেছিল বলেও অনেক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে খবর ছিল।
হামজার মৃত্যু নিয়ে প্রকাশিত খবরেও সঠিক স্থান, কালের উল্লেখ নেই। তবে দু’টি সংবাদ মাধ্যমই একমত, হামজার মাথার দাম ঘোষণার আগেই মারা পড়ে থাকতে পারে সে। ‘এনবিসি নিউজ’ একটি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হামজা বিন লাদেন মারা গিয়েছে। তার মৃত্যুর খবরের সত্যতা মেনে নিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের তিনি শীর্ষ আধিকারিক। কিন্তু হামজার মৃত্যু সম্পর্কিত কোনও বিস্তারিত তথ্য তাদের হাতে আসেনি। অর্থাৎ, কবে, কোথায় হামজার মৃত্যু হয়েছে, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই ‘এনবিসি নিউজ’-এর খবরে। ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ জানিয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের দুই কর্তার মতে, হামজা মারা গিয়েছে। খুব সম্ভবত একটি অভিযান চলাকালীন হামজার মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁরা মোটামুটি নিশ্চিত। যে অভিযানটিতে ছিল মার্কিন সেনা।
ওসামা বিন লাদেনের ২০টি সন্তানের মধ্যে ১৫তম সন্তান ছিল হামজা। লাদেনের তৃতীয় স্ত্রী’র ছেলে ছিল সে। পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের গোপন ডেরায় লাদেনকে খতম করার পর বেশকিছু তথ্য, ভিডিও ফুটেজ ও বহু ছবি বাজেয়াপ্ত করেছিল মার্কিন সেনা। সেগুলি খতিয়ে দেখে মার্কিন তদন্তকারীদের মত ছিল, লাদেনের অত্যন্ত প্রিয় সন্তান ছিল হামজা। আল কায়েদার পরবর্তী নেতা হিসেবেও হামজাকে তুলে ধরার বেশকিছু প্রমাণ মিলেছিল লাদেনের ডায়েরি থেকে। বাবার ইচ্ছে মতোই ধীরে ধীরে আল কায়েদার রাশ নিজের হাতে নিতেও শুরু করেছিল হামজা। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত এজেন্ট তথা আল কায়েদা বিশেষজ্ঞ আলি সউফানও বলেছিলেন, ‘লাদেনের মৃত্যুর পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জেহাদি গোষ্ঠীগুলিকে একত্রিত করার কাজ শুরু করেছিল হামজা। সেক্ষেত্রে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও খানিক সখ্য হয়েছিল তার।’