বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভারত বরাবরই বলে এসেছে দ্বিপাক্ষিকভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী দিল্লি। এই প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘আমরা বিশ্বের ১৩০ কোটি মানুষের কথা বলছি। ভেবে দেখুন একবার এই সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে কতবড় শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।’ ভারত যদি পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করে তবে পাকিস্তানও সেই পথেই হাঁটবে বলে আশ্বস্ত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘পরমাণু অস্ত্র কোনও বিকল্প নয়। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের অর্থ নিজেদের ধ্বংস করা ছাড়া কিছুই নয়। কেননা, দুই দেশের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার মাইল সীমান্ত রয়েছে।’
সাক্ষাৎকারে বারবারই ট্রাম্পকে মধ্যস্থ হওয়ার আবেদন করেছেন ইমরান। তাঁর কথায়, ‘গত ফেব্রুয়ারিতে একটি ঘটনা ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তাই এর একটা বিহিত করা দরকার। এই কারণেই আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতা চাইছি। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকাই একমাত্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে পারে। শুধুমাত্র কাশ্মীরের জন্যই গত ৭০ বছর ধরে আমরা সভ্য প্রতিবেশী হিসেবে অবস্থান করতে পারিনি।’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পাকিস্তানি জঙ্গিদের হামলার পর ইসলামাবাদের সঙ্গে সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ভারত। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় পাকিস্তানের জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর বদলা নিতে বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।