বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ট্রাম্প এদিন ইমরানকে বলেন, ‘ভারতও এই বিষয়টির নিষ্পত্তি চাইছে। আপনারও নিষ্পত্তি চাওয়া উচিত। আমি মধ্যস্থতাকারী হতে পারলে খুশি হব।’ প্রস্তাবটি লুফে নিয়ে ইমরানও বলেন, ‘আপনি যদি এই বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে পারেন, তবে কোটি কোটি মানুষের প্রার্থনা আপনার সঙ্গে থাকবে।’ প্রসঙ্গত, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথম আমেরিকা এলেন। ট্রাম্প এবং ইমরানের প্রথম বৈঠকেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে সূত্রের খবর। বস্তুত, ওভাল অফিসে ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্পের প্রথম কথাই না কি ছিল কাশ্মীর নিয়ে।
গত মাসে জাপানের ওসাকায় জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মোদি। তাঁদের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কোনও কথা হয়েছিল কি না, জানা যায়নি। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান খুব স্পষ্ট। কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলেই মনে করে দিল্লি। কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার সব সম্ভাবনা খারিজ করেছে ভারত। আগের সব প্রধানমন্ত্রীরা এই নিয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা বাতিল করেছেন। ট্রাম্পের মন্তব্য সামনে আসার পরেই জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার ট্যুইট, ‘ভারত সরকার কি এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মিথ্যাবাদী বলবে, না কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় পক্ষের অঘোষিত হস্তক্ষেপ চালিয়ে যাবে?’
এর আগে, মার্কিন নিবাসী পাকিস্তানিদের এক সভায় ইমরান খানের সামনেই পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান ওঠে। তোলা হল স্বাধীন বালুচিস্তানের দাবি। তিনজন বালুচ যুবকের এই কীর্তিতে আন্তর্জাতিক মহলে অস্বস্তিতে পড়েছে পাকিস্তান। রবিবার মার্কিন সংসদের বাইরে ইমরান খানের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) কর্মী-সমর্থকরা। পাক সেনা এবং আইএসআই মোহাজিরদের (ভারত থেকে আসা মুসলিম) উপর অত্যাচারের প্রতিবাদেই তাদের এই বিক্ষোভ। এদিন হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ দেখানোর কথা রয়েছে এমকিউএম, বালুচ, পাখতুন, সিন্ধি, গিলগিট বাল্টিস্তান সহ একাধিক সম্প্রদায়ের সংগঠনগুলির।গতকালই সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানে ওয়াশিংটনে নেমেছেন ইমরান খান। সাধারণত, কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী সফরে এলে তিনি ব্যক্তিগত বিমানেই আসেন। খরচ বাঁচাতে ব্যক্তিগত বিমানে আসেননি ইমরান। প্রথা ভেঙে তাঁকে স্বাগত জানাতেও আসেননি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও শীর্ষ পদাধিকারী।