বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মূর্তির অনুমতি মিললে চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই এর আবরণ উন্মোচন করা হবে। ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচির পাশে দাঁড়িয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ক্যাথিড্রাল, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি কাউন্সিল, ভারতীয় হাই কমিশন, গ্রেটার ম্যাঞ্চেস্টার লেফটেন্যান্সি অফিস এবং দ্য ম্যাঞ্চেস্টার ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ। এমনকী ধর্মীয়, ব্যবসায়িক সহ একাধিক সংগঠন এই উদ্যোগকে সমর্থন করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে ব্রিটেনে গান্ধীজির তিনটি মূর্তি রয়েছে। ২টি লন্ডনে এবং একটি লিসেস্টারে। সেক্ষেত্রে, ম্যাঞ্চেস্টার ক্যাথিড্রালের সামনে গান্ধীজির চতুর্থ মূর্তি বসতে চলেছে।
প্রস্তাবিত মূর্তিটির উচ্চতা হবে ৯ ফুট এবং ওজন ৮০০ কেজি। এটি তৈরি করবেন প্রখ্যাত শিল্পী রাম ভি সুতার। একাধিক প্রেক্ষাপট বিচার করেই এই জায়গাটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে সংগঠন সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, শ্রীমদ রামচন্দ্র ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর আধ্যাত্মিক গুরু। তাঁর থেকেই গান্ধীজি অহিংসা ও আত্মোন্নতির শিক্ষা পেয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ১৯৩১ সালে ব্রিটেন সফরে এসেছিলেন জাতির জনক। সেই সময় ল্যাঙ্কশায়ারের কাপড়ের মিলের শ্রমিকদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন তিনি। লন্ডন থেকে ম্যাঞ্চেস্টার হয়ে ব্ল্যাকবার্ন পৌঁছন গান্ধীজি। ভারতীয়রা কেন ব্রিটিশ দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়েছে, সেব্যাপারে শ্রমিকদের বোঝান তিনি। সেই সফরে প্রচুর মানুষ তাঁর অনুরাগী হয়ে ওঠেন।
২০১৭ সালের এরিনা হামলা ম্যাঞ্চেস্টারের জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। তারপরই এই শহরে অহিংসা ও সহানুভূতির আবহ গড়ে তুলতে বিভিন্ন মহল প্রচেষ্টা শুরু করে। এই মূর্তি তৈরি হলে সার্বিকভাবে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে।