রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গতকালই সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানে ওয়াশিংটনে নেমেছেন ইমরান খান। সাধারণত, কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী সফরে এলে তিনি ব্যক্তিগত বিমানেই আসেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকেন অন্য দেশের শীর্ষ পদাধিকারীরা। খরচ বাঁচাতে ব্যক্তিগত বিমানে আসেননি ইমরান। প্রথা ভেঙে তাঁকে স্বাগত জানাতেও আসেননি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও শীর্ষ পদাধিকারী। গত দু’দিন ধরে ওয়াশিংটনের রাস্তায় গাড়ি করে মোবাইল বিলবোর্ডে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পাকিস্তানে জোর করে তুলে গিয়ে গুম করার প্রথা বন্ধ করার আর্জিও জানানো হয়েছে।
এদিন এক ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রবাসী পাকিস্তানিদের সভায় বক্তব্য রাখছিলেন ইমরান খান। সেই সময় তিন বালুচ যুবক দর্শকাসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পাকবিরোধী এবং বালুচিস্তানের স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। যদিও মূল মঞ্চ থেকে তাঁদের দূরত্ব ছিল অনেকটাই। প্রায় আড়াই মিনিট পর ওই যুবকদের দর্শকাসন থেকে বের করে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
অন্যদিকে, ওই অনুষ্ঠানে মুঘল সাম্রাজ্য পতনের উদাহরণ টেনে দেশের বিরোধী দলগুলির পরিবারতন্ত্রকে একহাত নিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন তিনি। দুই রাজনৈতিক পূর্বসূরী নওয়াজ শরিফ এবং আসিফ আলি জারদারির সমালোচনা করে ইমরান বলেন, শরিফকে একজন স্বৈরাচারী তৈরি করেছে। জারদারি এবং বিলাবল ভুট্টো কাগজের জোরে নেতা হয়েছেন। পাকিস্তানে বন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ জেল ওয়ার্ডে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের দাবি জানিয়েছেন। ইমরান এদিন সাফ জানিয়েছেন, তা কোনওদিনই মানা হবে না। শরিফ-কন্যা মরিয়ম এই নিয়ে সরব হলে, তাঁকে টাকা ফিরিয়ে দিতে বলব। ভবিষ্যতে শরিফকে হাসপাতাল ওয়ার্ডেও পাঠানো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।