বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
ইরাকের ইয়াজিদিদের জন্য সাহায্যের আবেদন করেছিলেন নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ইয়াজিদি সমাজকর্মী নাদিয়া মুরাদ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তিনি বোঝান কীভাবে আইএস জঙ্গিরা ইয়াজিদিদের খুন করেছে ও মহিলাদের যৌনদাসী বানিয়েছে। ২০১৪ সালে নাদিয়া ও বেশ কয়েকজন মহিলা আইএসের খপ্পর থেকে বেরিয়ে এসে গোটা বিশ্বকে জানান, কীভাবে মহিলাদের ওপরে অত্যাচার করছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠী। এখন তিনি ইয়াজিদিদের জন্য আন্তর্জাতিক আঙিনায় অন্দোলন করেন। ট্রাম্পকে নাদিয়া বলেন, তাঁর মা ও ছয় ভাইকে খুন করেছে আইএস। কমপক্ষে ৩ হাজার ইয়াজিদি এখনও নিখোঁজ। এসব শুনে ট্রাম্পের পাল্টা প্রশ্ন, আপনি নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন? খুব ভালো। কিন্তু কেন ওরা নোবেল দিয়েছে আপনাকে? ট্রাম্পের ওই কথা শুনে ফের নিজের কথা বলতে শুরু করেন নাদিয়া। হোয়াইট হাউসের ওই সাক্ষাৎকারে নাদিয়া ট্রাম্পকে বলেন, এটা কোনও বিশেষ একটা পরিবারের বিষয় নয়। গোটা ইয়াজিদিদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। এসব শুনে ট্রাম্প প্রশ্ন করেন, আইএস তো নেই। তাহলে কুর্দিশরা কিছু করছে? ওসব এলাকা আমি ভালো করেই জানি।
নাদিয়া মুরাদ, একজন বিশ্বনন্দিত নোবেলজয়ী মেয়ের নাম। নোবেল জয় করে গোটা বিশ্বকে বিস্মিত করেছেন ইরাকের এই ইয়াজিদি মানবাধিকারকর্মী। প্রথম ইরাকি হিসেবে নোবেল পাওয়া ২৫ বছর বয়সী নাদিয়ার পথটি মোটেও সহজ ছিল না। ইরাকের সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন পৃথিবী নির্মমতম জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বর্বরতা। শিকার হয়েছেন অবর্ণনীয় নির্যাতনের। আইএসের অত্যাচারে ভয়াবহতম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করা এই সাহসী মেয়ে একসময় উত্তর ইরাকের সিঞ্জারের পাহাড়ি এলাকায় নিজের গ্রামে শান্তির জীবন অতিবাহিত করেছেন। এর পর অনেক কষ্ট-সংগ্রাম-কৌশল করে পালিয়ে আসেন তিনি। পালিয়ে এসেই তিনি ক্ষান্ত হননি, বরং যোগ দেন আইএসের হাতে বন্দি ইয়াজিদি মেয়েদের মুক্তির সংগ্রামে। রুখে দাঁড়ান মেয়ে পাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে। পরিণত হন ইয়াজিদিদের মুক্তির প্রতীকে। ২০১৫ সালে তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের সামনে তুলে ধরেছিলেন নিজের ভয়ানক অভিজ্ঞতা।