কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিসের খিলগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান রিপন জানিয়েছেন, ‘ডিজিটাল জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতরা সবাই রুশভাষী বলে একজন দোভাষী নিয়োগ করা হয়েছে। তারপরও জিজ্ঞাসাবাদে তারা কিছু কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত নেটওয়ার্ক জানার চেষ্টা করছি। একইসঙ্গে তাদের অন্য সহযোগীকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
গত ১ জুন সন্ধ্যায় ঢাকার খিলগাঁও তালতলা এলাকার ডাচবাংলা ব্যাঙ্কের একটি বুথ থেকে অভিনব পদ্ধতিতে জালিয়াতি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সময় ইউক্রেনের এক নাগরিককে আটক করেন বুথের নিরাপত্তাকর্মী। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম হ্যাভেনে অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা হল, ভ্যালেনটাইন (পাসপোর্ট নম্বর ইওয়াই ০৫১৫৬২), ওলেগ (পাসপোর্ট নম্বর ইএক্স ০৮৯৯৬৩), ডেনিস (পাসপোর্ট নম্বর এফএল ০১৯৮৩৪) নাজেরি (পাসপোর্ট নম্বর এফটি ৫০০৫০১), সারগি (পাসপোর্ট নম্বর এফএইচ ৪২৪৩৯৪) ও ভোলোবিহাইন (পাসপোর্ট এফটি ৩৭৯৯৮৩)। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ভিটালি (পাসপোর্ট নম্বর এফই ৮০৪৪৪৮) নামে এক ইউক্রেনিয়ান পালিয়ে গিয়েছে। তাকে ধরার জন্য বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জালিয়াত-চক্রের সদস্যরা এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করেছে, যেটি দেখতে হুবহু এটিএম কার্ডের মতো। এই কার্ড এটিএম মেশিনে প্রবেশ করানোর পর টাকা তোলার জন্য কোনও নির্দেশের অপেক্ষা করতে হয় না। অটোমেটিকভাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বেরিয়ে আসে। তদন্ত অফিসারদের ধারণা, এই চক্রের সদস্যরা অন্য কোনও ডিভাইসও ব্যবহার করেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিসের এক কর্তা জানান, এই জালিয়াত চক্রের যে সদস্য এখনও পলাতক রয়েছে, তার কাছে আরও ডিভাইস থাকতে পারে। তাকে ধরতে পারলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে দেশীয় কোনও এজেন্টও থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ, জালিয়াতির কৌশল দেখে মনে হয়েছে তারা পরিকল্পিতভাবে এই কাজটি করেছে। এজন্য তারা বেছেও নিয়েছে খিলগাঁওয়ের মতো এলাকা। সাধারণত বিদেশি নাগরিকরা রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-বারিধারা ও বনানীর এটিএম কাউন্টার ব্যবহার করার কথা। কিন্তু এসব এলাকার বাসিন্দারা সচেতন বলে তারা খিলগাঁও তালতলার মতো এলাকা বেছে নিয়েছে।
পুলিস সূত্রের খবর, এই চক্রটির বিষয়ে তারা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। কারণ, এই চক্রের সঙ্গে বিদেশে অবস্থানকারী বড় কোনও সাইবার ক্রিমিনাল চক্রের যোগাযোগ থাকতে পারে। চক্রটি পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম হ্যাভেন ছেড়ে অন্য একটি হোটেলে ওঠার চেষ্টা করেছিল। তারা ৬ জুন ঢাকা থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য সবকিছু ঠিক করে রেখেছিল।