পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এক বছর আগে নেত্রকোণা জেলার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয় আবুল খায়ের বেলালি (৩৩)। রবিবার পুলিস জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়ার পর জেরার মুখে পড়ে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। মাদ্রাসায় পড়ানোর পাশাপাশি বেলালি কাছের একটি মসজিদের মৌলবীও। পুলিস জানিয়েছে, গত এক বছরে ওই মাদ্রাসার ভিততেই ৮ থেকে ১১ বছর বয়সি মোট আটটি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক। শুক্রবার দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়া ৮ বছরের আরও এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। কিন্তু ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনতে পেয়ে বেলালিকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয় মানুষ। চলে ব্যাপক মারধর। এরপর স্থানীয় মানুষই অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিসের হাতে তুলে দেন।
মাদ্রাসাটিতে মোট ৩৫ জন ছাত্রী পড়াশোনা করে। তাদের মধ্যে ১৫ জন আবাসিক ছাত্রী। আশপাশের গ্রামের ওই ১৫ ছাত্রী মাদ্রাসার ডর্মিটরিতে থেকে পড়াশোনা করে। ঘটনার পর দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীর কাকা অভিযোগ দায়ের করেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন আরও এক ছাত্রীর বাবা। নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, প্রথমে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছিলাম আমরা। কিন্তু পরে এক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয় বেলালির বিরুদ্ধে। জেরায় ওই শিক্ষক জানিয়েছে, মাদ্রাসার পড়া ৩৫ জনের মধ্যে গত এক বছরে আটটি ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে সে। প্রথমে ছাত্রীদের মাদ্রাসার মধ্যে নিজের ঘরে ডেকে আনত ওই শিক্ষক। তাদের দিয়ে মাথা ও পা টেপাত। তারপর চলত পাশবিক আচরণ। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয় মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষ।