বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
কমলা মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নন বলে ডেমোক্র্যাট সেনেটরকে গত বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে আক্রমণ শানান ডানপন্থী নেতা আলি আলেকজান্ডার। নিজেকে ‘আফ্রিকান আমেরিকান’ উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘‘আমার মতো মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গকে দেশের ইতিহাস থেকে যাঁরা মুছে দিতে চাইছেন তাঁদের প্রতি আমি বীতশ্রদ্ধ। এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। ‘ডেম ডিবেট-২’-এ এ নিয়ে বিতর্ক হোক।’’ সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ট্যুইট। আলি আলেকজান্ডারের এই ট্যুইট আলি আকবর নামে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
আলির সেই ট্যুইট পুনরায় ট্যুইট করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে তথা জুনিয়র ট্রাম্প। এবং লিখেছেন, ‘দারুণ। এটা কি ঠিক?’ কিন্তু, বিষয়টি নিয়ে ভুল বার্তা যাচ্ছে বুঝতে পেরেই তা মুছে দেন তিনি। তবে, কমলাই প্রথম বর্ণবিদ্বেষের শিকার নন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে বারাক ওবামাও এর শিকার হয়েছিলেন। কারণ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহ কিছু রিপাবলিকান ‘বার্থেরিজম’ নামক শব্দনিবন্ধ তৈরি করে বিদেশি বংশোদ্ভূতদের মার্কিনদের নিশানা করেছিলেন। এবং সেখানে ওবামাকে স্বাভাবিক মার্কিন নাগরিক নন বলে আক্রমণ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, হাওয়াইয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ওবামা।
আলেকজান্ডারের ট্যুইটের সমালোচনা করে ট্রাম্প-পুত্রকে একহাত নিয়েছেন কমলার কমিউনিকেশন ডিরেক্টর লিলি অ্যাডামস। তিনি সিএনএনকে বলেছেন, ‘এর আগে ওঁর বাবাও ওবামাকে এ ধরনের বর্ণবিদ্বেষমূলক আক্রমণ করেছিলেন। তখনও তা কাজ হয়নি। এবারও তা কাজে আসবে না।’ কমলার পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি লিখেছেন, ‘মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে ওবামাকে করা আক্রমণ এখন কমলা হ্যারিসকে করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত খারাপ।’ কমলাকে আক্রমণের সমালোচনা করেছেন ম্যাসাচুসেটসের সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন। তিনি এধরনের আক্রমণকে ঘৃণ্য বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, হোয়াইট হাউস দখলের লক্ষে গত জানুয়ারি থেকে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন কমলা। সেইমতো যদি তিনি জিতে যান, তাহলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট এমপি হিসেবে ইতিহাস গড়বেন কমলা। দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভারতীয় মা এবং জামাইকান বাবার কন্যা হলেন কমলা।