বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বেলফাস্ট থেকে ডাবলিন যাওয়ার সময় ট্রেনে তাঁদের পাশেই বসেছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রসূন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, গোটা যাত্রাপথে অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্যান থেকে বিয়ার পান করতে করতে তাঁদের উচ্চারণ, গায়ের রং, সংস্কৃতি, জাতিসত্তা নিয়ে হেনস্তা করতে থাকে। গোটা যাত্রাপথে ক্রমাগত বিয়ার পান করে মদ্যপ হয়ে পড়ার ফলেই ওই ব্যক্তি এই ধরনের আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেন প্রসূনবাবু। আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি যখন তাঁদের হেনস্তা করছে, তখন সেখানে আসেন ট্রেনের গার্ড। কিন্তু তিনি এই হেনস্তা বন্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। পিটার নামে ট্রেনের অপর এক যাত্রী জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই ব্যক্তিকে চুপচাপ বসে থাকতে নির্দেশ দেন গার্ড। কিন্তু তিনি চাইলে এই ঘটনায় আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারতেন। পিটার আরও জানান, যাত্রা শেষে ডাবলিন পৌঁছনোর পর তিনি প্রসূন ভট্টাচার্য ও তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং ক্ষমাও চান।
এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পরই উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে ইমিগ্র্যান্ট কাউন্সিল অব আয়ারল্যান্ড। কাউন্সিলের কমিউনিকেশন অ্যান্ড অ্যাডভকেসি ম্যানেজার পিপ্পা উলনোঘ জানিয়েছেন, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা কী পদক্ষেপ নেব, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট, বর্ণবিদ্বেষের মোকাবিলায় আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। গোটা ঘটনার নিন্দা করে সরব হয়েছেন আইরিশ রেলের মুখপাত্র ব্যারি কেনি। এই ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। কেনি আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।