গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
চলতি মাসের শেষদিকেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট পম্পেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি তিনি বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যেই তাঁর এই সফর বলে জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব। বুধবার ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের ‘ইন্ডিয়া আইডিয়াস্ সামিট’-এ বক্তব্য রাখতে পম্পেও বলেন, ‘সাম্প্রতিক নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় (মোদি থাকলে সবই সম্ভব)। দু’দেশের মানুষের পারস্পরিক আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার পরিসর কতটা রয়েছে, তা খুঁজে বের করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি আমি।’
ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকাও দেন মার্কিন বিদেশসচিব। তাঁর বিশ্বাস, একসঙ্গে অগ্রগতির পথে চলার ক্ষেত্রে দুই রাষ্ট্রের কাছেই ‘অনন্য সুযোগ’ রয়েছে। আম জনতার কল্যাণসাধন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সুষ্ঠ ও অবাধ বাণিজ্য নীতি প্রণয়ন এবং সর্বোপরি উন্নত বিশ্ব গঠনে দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে পারে বলেও আশাপ্রকাশ করেন পম্পেও।
কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আগ্রাসন ঠেকাতে ব্যাপক ভাবে তৎপর হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর জন্য ওই অঞ্চলের আশপাশের দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই লক্ষ্যেই আগামী ২৪-৩০ জুন চারটি দেশে সফর করবেন মার্কিন বিদেশ সচিব। ভারতের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াতেও যাবেন তিনি। দক্ষিণ চীন সাগর, ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক পরিকাঠামো বৃদ্ধির চেষ্টা করছে চীন। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে বেজিং। তবে, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই এবং তাইওয়ানও ওই সাগরে পাল্টা আধিপত্য দাবি করে আসছে।