কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সওয়াল জবাবের সময় বিচারক ইনগ্রিড সিমলার জানান, দু’পক্ষের তরফে জমা দেওয়া তথ্য প্রমাণ দেখে মনে হয়েছে, জামিন পেলে পরবর্তীতে নীরব মোদি আদালতে আত্মসমর্পণ নাও করতে পারেন। এর আগে জামিনের জন্য ২০ লক্ষ পাউন্ড জমা দিতে চেয়েছিলেন নীরব মোদি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বিচারক জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে প্রচুর পরিমাণ অর্থ রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভারতের আইনি প্রক্রিয়ার নাগাল এড়িয়ে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার মতো একাধিক জায়গায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মোদির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি। বিচারক ইনগ্রিড সিমলার বলেন, ‘এই মামলার ১২ জন সাক্ষীর প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।’ পাল্টা নীরব মোদির আইনজীবী ক্লারা মন্টগোমারি আদালতে জানান, ব্রিটেন ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই মোদির। তিনি বলেন, ‘মোদি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নন, যে তিনি ইকুয়েডরের দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় নেবেন। তিনি একজন সাধারণ ভারতীয় হীরে ব্যবসায়ী। সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করার প্রমাণও মেলেনি তাঁর বিরুদ্ধে।’ কিন্তু ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসঙ্গ টেনে এনে বিচারক ইনগ্রিড সিমলার জানান, মোদি জামিন পেলে অন্যত্র পালিয়ে যেতে পারেন বলে ভারত সরকারের তরফে আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছিল। সেকথা মাথায় রেখেই মোদির জামিনের আর্জি বাতিল করেন চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এমা অরবাথনট। একই আশঙ্কায় বিচারক ইনগ্রিড সিমলারও মোদির জামিনের আর্জি বাতিল করে দেন। এদিন সওয়াল জবাবের সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না নীরব মোদি। আগামী ২৭ জুন ভিডিওলিঙ্কের মাধ্যমে জেল হেপাজতের শুনানি মামলায় যোগ দেবেন তিনি।
এর আগে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নীরব মোদির জামিনের জন্য মোট তিনবার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবীরা। কিন্তু সওয়াল জবাবের সময় ভারত সরকারের তরফে এই মামলায় সওয়ালকারী ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান জানান, জামিনে মুক্ত হয়ে বাইরে এলে আর্থিক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত নীরব মোদি পালিয়ে যেতে পারেন বা সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। পাল্টা যে কোনও শর্ত মেনে জামিনের আবেদন জানান মোদির আইনজীবীরা। কিন্তু মোদিকে জামিন দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে প্রতিবারই আবেদন খারিজ করে দেন চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এমা অরবাথনট। জামিন পেতে মরিয়া মোদি এবার দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাইকোর্টের। কিন্তু সেখানেও জামিন না মেলায় এখনই বন্দিদশা কাটল না দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থ জেলে বন্দি ৪৮ বছরের এই হীরে ব্যবসায়ীর।