কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বালাকোটে জয়েশের ঘাঁটি ভারতীয় বায়ুসেনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর থেকে ভারতের উড়ানের জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনার পাঁচ মাস পর ১১টি রুটের মধ্যে দু’টি খোলা হয়েছে। বাকিগুলি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উপর এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি রেখে পাকিস্তান। ফলে এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগোর উড়ান ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ থাকায় দিল্লি থেকে ইস্তানবুলের সরাসরি উড়ান বন্ধের মুখে। ইস্তানবুল যাওয়ার জন্য আরব সাগর ঘুরতে হচ্ছে। পথ অনেক দীর্ঘায়িত হওয়ায় কাতারের দোহায় বা গুজরাতের আমেদাবাদে একবার থামছে বিমানগুলি। স্বাভাবিকভাবেই খরচ বাড়ছে।
বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ থাকলেও গত মাসে এসসিওর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বিমানকে পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। এবার প্রধানমন্ত্রীর বিমানকে অনুমতি দিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার রাস্তা খোলা রাখতে চাইছে পাক সরকার।
সম্প্রতি কাশ্মীরসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যদিও কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় বিশকেকে এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে ইমরান খানের সঙ্গে মোদির বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা নেই। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানান, সন্ত্রাস এবং আলোচনা একসঙ্গে চলবে না। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু করতে গেলে আগে জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে। যদিও পাক বিদেশ মন্ত্রক এখনও আশাবাদী, ইমরান খানের আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।