বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লির ক্ষমতা দখলের পর প্রথম বিদেশ সফরে মালদ্বীপ যান প্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলির উপস্থিতিতে সেখানকার পার্লামেন্টে ভাষণ দেন তিনি। সরব হন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে। সন্ত্রাস শুধু একটি দেশ নয়, সমগ্র সভ্যতার কাছে ভয়ের কারণ জানিয়ে মোদি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশ্বব্যাপী সম্মেলন এবং বিভিন্ন কনফারেন্স আয়োজন করতে পারে, তাহলে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নয় কেন?’ এই প্রেক্ষিতেই মোদিকে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।
সোমবার বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডিজাইন বিভাগে ফরাসি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক্তন ভারতীয়দের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন জাঁ ব্যাপ্টিস্ট। সেখানে তিনি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদির আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। জাঁ বলেন, ‘সন্ত্রাস দমনে প্রতিটি পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। কারণ, এটা বিশ্বের প্রতিটি দেশের কাছে ভয়ের কারণ। তাই, এ বিষয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার যাবতীয় প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। জলবায়ু পরিবর্তনের মতোই এটা বিশ্বের কাছে চ্যালেঞ্জ। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’
এরপরেই ফ্রান্সের মন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘সন্ত্রাসদমনই আমাদের অগ্রাধিকার। এ বিষয়ে ভারতের পাশে রয়েছে ফ্রান্স। এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।’ পাশাপাশি, ফ্রান্সের সঙ্গে বিতর্কিত রাফাল চুক্তি নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। জাঁ কথায়, ‘ফরাসি সরকারের এ নিয়ে কোনও মাথা ব্যাথা নেই। আমাদের একটা সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ রয়েছে। সেইমতো আমরা ভারতের রাফাল সরবরাহ করব। এর সঙ্গে দু’দেশের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। ভারতের উন্নত সার্বভৌমত্বের জন্য রাফাল একটা যন্ত্র।’
এ বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত প্রথম রাফাল পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তারপর একে একে ৩৬টি রাফাল ভারতকে সরবরাহ করা হবে। এদিন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নমন্ত্রী হরদীপসিং পুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন জিন। আগামী আগস্টে জি-৭ সম্মেলনে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।