রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, সমাধি বুদ্ধমূর্তির এই রেপ্লিকা সাদা সেগুন কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে। অসাধারণ এই শিল্পকর্মটি শেষ হতে প্রায় দু’বছর সময় লেগেছে। ধ্যান মুদ্রায় থাকা বুদ্ধমূর্তির এই রেপ্লিকা বিশেষ বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া বিশেষ উপহার। অনুরাধা যুগের অন্যতম সেরা ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত হয় এই বুদ্ধমূর্তি। প্রকৃত মূর্তির ভাস্কর্যটি তৈরি হয়েছিল চতুর্থ ও সপ্তম শতাব্দীর মধ্যে। রবিবার শ্রীলঙ্কা সফরে এসে সিরিসেনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী মোদির। সিরিসেনাকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হাউসে অশোকবৃক্ষের একটি চারাও রোপণ করেন। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। পরে প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট, ‘সংক্ষিপ্ত হলেও খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে এই শ্রীলঙ্কা সফর। আমাদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান রয়েছে শ্রীলঙ্কার। আমি শ্রীলঙ্কার বোন ও ভাইদের আশ্বস্ত করতে চাই, ভারত সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে, আপনাদের দেশের অগ্রগতিতে সহযোগিতা করবে। স্মরণীয় অভ্যর্থনা ও আতিথেয়তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে ও বিরোধী দলের নেতা মাহিন্দা রাজাপাকসের সঙ্গেও এদিন সাক্ষাৎ করেন মোদি। কলম্বোর ইন্ডিয়া হাউসে শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতার পর্বেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ইস্টার হামলার পর প্রথম বিদেশি রাষ্ট্রনেতা হিসেবে এই সফরের জন্য মোদিকে ধন্যবাদ জানান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। সাক্ষাৎ পর্বের পর সিরিসেনার ট্যুইট, ‘সংক্ষিপ্ত হলেও আজ আমাদের দেশে খুবই ফলপ্রসূ এই সফরের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ। প্রকৃত বন্ধু হিসেবে পাশে পেয়েছি আপনাকে। শ্রীলঙ্কার প্রতি যেভাবে সহযোগিতা ও সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিলেন, তা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছি।’ প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ পর্বের আগে গতকাল একটি অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। কলম্বো গেজেটের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইস্টার হামলার প্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কার ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারা যে এখন বিভাজিত হয়ে পড়েছেন, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সিরিসেনা। তাঁর সতর্কতা, ‘আমরা যদি বিভাজিত হয়ে পড়ি ও পরস্পরের থেকে দূরে সরে যাই, তাহলে আখেরে দেশেরই ক্ষতি। আরও একটি গৃহযুদ্ধ হলে দেশ টুকরো টুকরো হয়ে পড়বে। কোনও ‘মুসলিম’ প্রভাকরণ উঠে আসুক, সেই রাস্তা তৈরি করা ঠিক হবে না।’ ঘটনাচক্রে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েই এদিন শ্রীলঙ্কা সফর শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রওনা হন দেশের উদ্দেশে।