কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দুর্ঘটনার কবলে পড়েও যে ক’জন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের অন্যতম হলেন নিধিন। কেরলের বাসিন্দা নিধিনের কথায়, ‘যাঁরা বাসের বাঁদিকের আসনগুলিতে বসেছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। হাইট বারের ধাতব পাতগুলি বাসটিকে এঁফোড়-ওফোঁড় করে দিয়েছিল। চারদিকে শুধু রক্ত আর দেহাংশ পড়েছিল।’ দুবাইয়ের আল রাশিদিয়া মেট্রো স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় বাসের চালক ভুল করে ওই রাস্তায় ঢুকে পড়েন, যেখানে বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই মেট্রো স্টেশনেই নামার কথা ছিল নিধিনের। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, ওমানের রাজধানী মাসকট থেকে দুবাই আসছিল বাসটি। বাসের মধ্যে দু’জন চালক ছিলেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে পালা করে বাস চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর প্রথমে যাত্রীরাই একে অপরকে সাহায্য করতে তৎপর হন। পরে পুলিস ও অ্যাম্বুলেন্স আসে।
ওমানের বাসিন্দা জিদান ফিরোজ বাবা-মাকে নিয়ে ওই বাসেই সফর করছিলেন। দুর্ঘটনার সময় জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছিলেন তিনি। জিদানের বাবার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। কিন্তু, মা রেশমা গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ জীবিত ছিলেন। জিদান তাঁকে ভাঙাচোরা বাসটিকে থেকে বাইরে বেরও করে এনেছিলেন। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। দুর্ঘটনায় স্বামী বিক্রম এবং খুড়তুতো বোন রোশনিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মনীশা ঠাকুর। তাঁরও ওই বাসেই সফর করার কথা ছিল। কিন্তু শেষমুহূর্তে অফিসের কাজের চাপ পড়ে যাওয়ায় তিনি যেতে পারেননি। মনীশা বলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। বিক্রমের সঙ্গে আমার বিকেলেই কথা হয়েছিল। পরে এক আত্মীয় আমাকে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দেন। পুলিশকে ফোন করে স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পাই। থানায় গিয়ে জানতে পারি বোন রোশনিও আর বেঁচে নেই।’
রাশিদিয়া পুলিস স্টেশনের একপাশে শোকস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অনুপ। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়া সহকর্মীর দেহ পেতে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন তিনি। অনুপ বলেন, ‘পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বছর ছাব্বিশের কিরণ জনি মাস আটেক আগেই আরব আমিরশাহিতে এসেছিল। এটাই ছিল ওঁর প্রথম চাকরি। ওঁর বাবা-মা কেরলের ত্রিশূরে থাকেন। ঈদের ছুটিতে ওমানে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল কীরণ। সেখান থেকে ফেরার সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে।’