কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফিল জে সাটন জানিয়েছেন, ‘সংশ্লিষ্ট গ্রহের অভিকর্ষজ টানের কারণে এই উপগ্রহগুলির অভ্যন্তরে উষ্ণতার সৃষ্টি হয়। যে কারণে উপগ্রহগুলিতে গ্রহগুলির স্বাভাবিক বাসোপযোগী অবস্থার অঞ্চলের বাইরেও তরল অবস্থায় জলের ভাণ্ডার তৈরি হয়। যা আমরা বর্তমানে পৃথিবীর মতো গ্রহগুলির মধ্যে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যদি আমরা ওই গ্রহগুলিকে খুঁজে বের করতে পারি, তাহলে তাদের উপগ্রহগুলিতে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধান পাওয়ার বেশি সম্ভাবনা আছে।’
রয়্যাল অ্যাস্টোনমিক্যাল সোসাইটির জার্নাল ‘মান্থলি নোটিস’-এ এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাপত্রটিতে সৌরজগতের বাইরের জে১৪০৭বি গ্রহের একাধিক উপগ্রহের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গ্রহটির বাইরে থাকা বলয়ে সেগুলি কোনও শূন্যস্থান তৈরি করেছে কি না, তাও বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। পৃথিবী থেকে দূরত্ব এবং আকারের কারণে এই উপগ্রহগুলিকে চিহ্নিত করা মোটেই সহজ নয়। গ্রহটির বলয়ের মতো আশেপাশের কোনও বস্তুর উপর তারা কোনও প্রভাব ফেলছে কি না, তা দেখেই উপগ্রহগুলিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষক ফিল সাটন জে১৪০৭বি গ্রহের চারপাশে থাকা বলয়ের একটি কম্পিউটারাইজড মডেল তৈরি করেছেন। যা আকারে শনির বলয়ের প্রায় ২০০ গুণ। সমস্ত বস্তুকণার মধ্যে অভিকর্ষজ টান গণনা করে কম্পিউটার মডেলে গ্রহটি ও তার বলয়ের অবস্থান, গতিবেগ এবং ত্বরণ আপডেট করা হচ্ছে। এরপরে তিনি সেই মডেলে একটি উপগ্রহ যোগ করেছেন। গ্রহটির বলয়ের বাইরে বিভিন্ন অনুপাতে তার কক্ষপথ বানিয়ে তা কোনও শূন্যস্থান তৈরি করছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে ১০০ বার আবর্তনের পর এই শূন্যস্থান সৃষ্টি হতে পারে। গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে, বলয়ের প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বস্তুকণার উপর প্রভাব ফেলছে উপগ্রহগুলি। দেখা না গেলেও বলয়ের বাইরে দিয়ে গ্রহটিকে প্রদক্ষিণ করার সময় সেগুলির অভিকর্ষজ টানের কারণে বলয়ের পরিকাঠামোয় শূন্যস্থান তৈরি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।