কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ব্রেক্সিট কার্যকর করতে মরিয়া মে অন্য দলের সমর্থন জোগাড় করতে বেশকিছু ছাড়ের কথা জানান। কিন্তু এই খসড়া পরিকল্পনা সমর্থন করেননি তাঁর দলের সংসদ সদস্যরাই। বুধবার হাউস অব কমনসের নেতৃত্ব ছাড়েন আন্দ্রিয়া লিডসম। কারণ হিসেবে লিডসম বলেন, তিনি মনে করেন না যে গণভোটের রায় সরকার কার্যকর করতে পারবে। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ এবং বিদেশমন্ত্রী জেরেমি হান্টের সঙ্গে টেরিজা মে দেখা করেন। মের প্রস্তাবিত বিল নিয়ে দুজনেই আশঙ্কার কথা জানিয়ে দেন।
শুক্রবার ইস্তফার কথা ঘোষণা করে কাঁদতে কাঁদতে আবেগাপ্লুত মে বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি হয়তো টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। তবে দেশের অনেক কিছু রয়েছে, যা ভালো। যা নিয়ে অনেক গর্ব করা যায়। অনেক কিছু নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়।’ তিনি ব্রেক্সিট কার্যকর করাতে পারেননি, এই দুঃখ সারাজীবন বয়ে বেড়াবেন বলেও জানিয়েছেন মে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনেক সম্মান পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘দেশের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার জীবন ধন্য। তবে এটা অবশ্যই শেষ নয়।’ দেশের স্বার্থেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে টেরিজা মে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘কোনও অসৎ ইচ্ছা নিয়ে আমি এই সিদ্ধান্ত নিইনি। বরং আমার ভালোবাসার প্রিয় দেশকে সেবা করার যে সুযোগ পেয়েছিলাম সেই অসীম কৃতজ্ঞতা থেকেই এটা করেছি।’ তবে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে তিনি যে সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছেন, তা বারেবারে জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে টেরিজা মে ইস্তফা দিলেও, ব্রেক্সিট নিয়ে অবস্থান বদল করছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউ কমিশন প্রেসিডেন্ট জাঁ-ক্লদ জুঙ্কার জানিয়েছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ইইউ নেতারা। তাতে বদল আনার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন। এদিকে, মের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল। দুই নেত্রীর মধ্যে সুন্দর এবং আস্থার সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। যে হৃদ্যতায় মে প্রশাসনের সঙ্গে জার্মানি সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, সেভাবেই ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা এবং নিবিড় সম্পর্ক জারি রাখবে বলে জার্মানি জানিয়েছে।