কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মামলার শুনানিতে শন বেরি এই অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয়। সে জানায়, ওইদিন বাকি দু’জনের সঙ্গে পিক-আপ ট্রাকে বসে মদ্যপান করেছিল সে। সেইসময় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ৪৯ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ প্রৌঢ় জেমস। লিফট দেওয়ার নাম করে তারা জেমসকে গাড়িতে তুলে শহরের প্রান্তে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে বেধড়ক মারধর করে জেমসের পা দু’টি চেন দিয়ে পিক-আপ ট্রাকের পিছনে বেঁধে দেয় তারা। জেমসের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে জানান, টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা বেঁচে ছিলেন জেমস। তারপর রাস্তার পাশে থাকা কংক্রিটের নিকাশি পাইপে ধাক্কা খেয়ে ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা হয়ে যায় ওই প্রৌঢ়ের। পরে দেহটি লুইসিয়ানা সীমান্তে কৃষ্ণাঙ্গদের গির্জার বাইরে উদ্ধার করে পুলিস।
বর্বরোচিত এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা দেশে। ইউলিয়াম কিংয়ের কারাদণ্ডের দশ বছর পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বর্ণবিদ্বেষমূলক অপরাধ রুখতে কঠোর আইন প্রণয়ন করেন। ১৯৯৯ সালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয় উইলিয়াম। কোনও কৃষ্ণাঙ্গকে খুনে এই সাজা ১৯৭০ সালের পর আর কোনও শ্বেতাঙ্গকে দেওয়া হয়। চলতি বছরে আমেরিকায় উইলিয়ামকে নিয়ে মোট চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল।