বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দু’দিন আগের সেন্ট অ্যান্টনি’জ চার্চের ঘটনাবহুল সকালের কথা বলতে গিয়ে এখনও শিউরে উঠছেন নির্মলা। তাঁর কথায়, ‘প্রচণ্ড জোরে একটি শব্দ শুনে আমি ঘুরে দেখি উপর থেকে ভারী কিছু একটা পড়ছে। চারদিকে আগুন জ্বলছে। আমি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। পরের পনেরো মিনিট কি ঘটেছিল আমি জানি না।’ পেশায় দর্জি এই মহিলা জানিয়েছেন, চেতনা ফিরে পেয়ে তিনি মেয়েকে খুঁজতে থাকেন। অনেকক্ষণ মেয়ের দেখা পাননি। পরে মেয়েকে খুঁজে পান। নির্মলা জানিয়েছেন, ‘আমি ইতিউতি মেয়েকে খুঁজতে থাকি। অবশেষে যখন তাকে খুঁজে পেলাম, ও আমাকে চিনতে পারেনি। তার মা কে, তাই তখন সে জানত না।’ বেঁচে ফেরার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন নির্মলার মেয়ে। সে এখন বলছে, ‘ঈশ্বরই আমাকে এবং আমার মাকে আবার এক জায়গায় এনে দিল।’ গির্জার ভিতরে মেয়েকে খুঁজে পাওয়ার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন তামিল বংশোদ্ভুত এই মহিলা। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেহাংশ, রক্তাক্ত গোটা ঘর। এসবের মধ্যে থেকেই অচৈতন্য অবস্থায় তিনি মেয়েকে খুঁজে পান।
চেতনা ফিরে পেয়ে তিনি কী দেখেন, তাও জানিয়েছেন নির্মলা। তাঁর কথায়, ‘আমার জুতোতে একটা বড় মাংসের টুকরো। কার মাংস জানতাম না। অন্যদিকে তাকিয়ে দেখি একটি শিশুর হাত-পা। গোটা চত্বর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। কারও শরীরের অর্ধেকটা পড়ে রয়েছে।’ এরপর আর তিনি ওই গির্জায় যাননি। এখনও তাঁর আতঙ্ক কাটেনি। নির্মলার স্বামী কর্মসূত্রে ব্রিটেনে থাকেন। সন্তানদের নিয়ে তিনি স্বামীর কাছে ব্রিটেনে চলে যেতে চান নির্মলা।