বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভ্লদিমির জেলেনস্কি ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলেছেন। সংসদীয় রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা ৪১ বছরের জেলেনস্কি। অভিজ্ঞতা বলতে রাজনীতিবিদদের নিয়ে একাধিক অনুষ্ঠান করা। সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল নামে হাস্যরসাত্মক একটি টিভি শো করেছিলেন জেলেনস্কি। সেখানে দেখা গিয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর সাধারণ এক নাগরিক দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এবার সেই কল্পিত টিভি শো-ই হয়তো বাস্তব রূপে হাজির হচ্ছে জেলেনস্কির জীবনে। ৩ সপ্তাহ আগেই তিনি ৭০ শতাংশ সমর্থন পেয়েছিলেন। বলিউডের ‘নায়ক’ সিনেমার অনিল কাপুরের মতোই টিভি স্টার থেকে একেবারে প্রেসিডেন্টের তখতে বসতে চলেছেন তিনি। তফাৎ একটাই, নায়ক ছিল সিনেমা। আর জেলেনস্কি সেটাকেই বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে এনেছেন। পোড় খাওয়া রাজনীতিক পেট্রো পোরোশেঙ্কোকে হারিয়েছেন এই কৌতুকাভিনেতা।
কোট-টাই পরে ইউক্রেনে রাজনৈতিক প্রচার সারাটাই দস্তুর। সেখানে জেলেনস্কি টি-শার্ট পরে প্রচার সেরেছেন। সঙ্গে থাকতেন তাঁর স্ত্রী। ‘ঐক্যবদ্ধ ইউক্রেন’ আর ‘সব ঠিক হয়ে যাবে’ এই ছিল তাঁর স্লোগান। আর তাতেই মজেছেন ইউক্রেনের আবালবৃদ্ধবনিতা। পরসেনকোর শাসনে দারিদ্র, দুর্নীতি আর স্বজনপোষণ থেকে বাঁচতে এই কৌতুক অভিনেতার উপর ভরসা রেখেছেন তাঁরা। অর্থডক্স ইস্টারের আগে পাম সানডেকে স্মরণীয় করে রাখতে জেলেনস্কির সমর্থকরা দলের সদর দপ্তরে সুস্বাদু মদ তৈরি রাখছেন। জেলেনস্কি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি কখনও আপনাদের হতাশ করবো না। আমি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হইনি। তারপরও ইউক্রেনের নাগরিক হিসেবে সোভিয়েত পরবর্তী দেশগুলোকে আমি বলতে চাই, আমাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। সবকিছুই সম্ভব।’ ভ্লদিমির জেলেনস্কি