রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, টিম হোটেল থেকে বাসে করে মসজিদে যাচ্ছিলেন তামিমরা। ক্রিকেটাররা ছাড়াও সেখানে ছিলেন ট্রেনার মারিও ভিলাভারায়ন, পারফরম্যান্স অ্যান্যালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন ও কয়েকজন সাংবাদিক। কিন্তু মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে স্থানীয় এক মহিলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জঙ্গি হামলার কথা জানান। আতঙ্কিত খেলোয়াড়রা তড়িঘড়ি হ্যাগলি ওভালে ফিরে আসেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ দলকে বিশেষ নিরাপত্তায় হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তারই মধ্যে তাঁদের নজরে পড়ে নির্মম হত্যালীলার খণ্ডচিত্র। চোখের সামনে হামলায় রক্তাক্ত মানুষদের দেখে তাঁদের মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল, তা জানিয়েছেন শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন। ভারতীয় এই কম্পিউটার অ্যানালিস্ট বলেন, ‘সেই সময় মনে হচ্ছিল যেন সিনেমা দেখছি। মসজিদের ভিতর থেকে ভেসে আসছিল তীব্র আর্তনাদ। শোনা যাচ্ছিল গুলির শব্দও। অসংখ্য মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে বেরিয়ে আসছেন। মসজিদের সামনের চত্বরজুড়ে শুধুই রক্ত। এই পরিস্থিতিতে আমরা বেশ কয়েক মিনিট স্থবির হয়ে গিয়েছিলাম। প্রাণ হাতে নিয়ে মাথা নিচু করে বসে ছিলাম বাসের মধ্যে। খানিক সম্বিত ফিরতেই হোটেলের পথে রওনা হই আমরা। কারণ বন্দুকবাজরা যে বাইরে বেরিয়ে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালাবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা ছিল না।’
ঘটনার পরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট দলের সদস্যরা সবাই টিম হোটেলে ফিরেছে। সবাই নিরাপদে রয়েছেন।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে দলের খেলোয়াড় এবং ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হয়। টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘দলের প্রত্যেকের চোখেমুখে আতঙ্ক থাকলেও সবাই নিরাপদে হোটেলে রয়েছেন।’ হোটেলে ফিরে ট্যুইট করেন দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবালও। গোটা ঘটনাটিকে ‘আতঙ্কজনক’ বলে জানান তিনি। ট্যুইটে তামিম লেখেন, ‘দলের সকলে নিরাপদে রয়েছেন।’
ক্রাইস্টচার্চে শেষ টেস্ট খেলে দেশে ফেরার কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্তে নেয় নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড। টেস্ট বাতিল হয়ে যাওয়ার তাঁদের আগেই দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সূত্রে খবর, ফ্লাইট বুকিং হলেই দেশে ফিরবেন ক্রিকেটাররা।