গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎকে। হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হন। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রী ছিল আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক। এসিপি মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মোট ১১ জনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ছ’জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা পাওয়ায় তাদের নাম রয়েছে চার্জশিটে। বাকিদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা পাওয়া গেলে চার্জশিটে তা যোগ করা হবে।’ কীভাবে অভিজিৎকে খুন করা হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘ওই নির্দিষ্ট দিনের জন্য হত্যাকারীরা অপেক্ষা করছিল। এক সময়ে তারা নিশ্চিত হয়, মার্কিন প্রবাসী অভিজিৎ দেশে ফিরেছেন। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁরা অভিজিতের বইমেলায় আসা-যাওয়ার পথে রেকি করতে থাকে। এর মধ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর সামনে তারা অভিজিৎকে দেখে। তিনি ওই দিন স্ত্রীকে নিয়ে ধানমন্ডিতে খেতে গিয়েছিলেন। সেখান পর্যন্ত তাঁকে অনুসরণ করে হত্যাকারীরা। কিন্তু সেদিন তাঁরা অপারেশন করতে পারেনি। এরপর তিনদিন টানা তাঁকে অনুসরণ করা হয় অভিজিতকে। রেকি করার দায়িত্ব ছিল মোজাম্মেল ও আবু সিদ্দিক নামে দু’জনের উপর। হত্যাকাণ্ডের দিন জিয়াউল ও তার আরও এক সহকারী সেলিম ঘটনার আশপাশে ছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেপ্তার চারজন হল – মোজাম্মেল হুসেন ওরফে সায়মন শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল সাকিব, আরাফাত রহমান ও শাফিউর রহমান ফারাবি। এর মধ্যে মোজাম্মেল, আরাফাত ও আবু সিদ্দিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আবু সিদ্দিক ও মোজাম্মেল জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও অভিযুক্ত।
অভিজিৎ হত্যার নেপথ্যে কাজ করেছিল ইনটেল ও কিলার নামে দুটি গ্রুপ। মনিরুল ইসলাম বলেন, “লেখালেখি ও ভিন্নমতের কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। মূলত ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’– এই দু’টি বইকে কেন্দ্র করে সমস্যা। এগুলির জন্যই অভিজিৎকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় আনসার আল ইসলাম।” জানা গিয়েছে, কিলিং স্কোয়াডের প্রধান ছিল মুকুল রানা, যে ইতিমধ্যেই পুলিসের সঙ্গে গুলিযুদ্ধে নিহত হয়েছে।