বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূরযওয়ালা বলেছেন, সৌদি আরবে গিয়েও মহম্মদ বিন সলমনকে আলিঙ্গন করেছিলেন মোদিজি। গতকালও বিমানবন্দরে সলমন নামতেই তাঁকে আবার আলিঙ্গন করলেন। এতে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু দিনের শেষে সৌদি আরব কেন পাকিস্তান সম্পর্কে একটিও মন্তব্য করল না? ভারতে আসার আগেই তিনি পাকিস্তানে গিয়ে ইমরান খানের সঙ্গেও একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে নিজেকে পাকিস্তানেরই রাষ্ট্রদূত হিসাবে বর্ণনা করে প্রকাশ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে সৌদি আরবকে ভারত পাশে পায়নি সন্ত্রাসের প্রশ্নে। উল্লেখ্য সৌদি প্রিন্সের পাকিস্তান বিরোধিতা পশ্চিম এশিয়ার কূটনীতির সমীকরণে অবশ্যই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু আজ সরাসরি পাকিস্তান প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি সলমন। তিনি বলেছেন, ভারত ও অন্য প্রতিবেশিদের সঙ্গে সন্ত্রাসের প্রশ্নে তারা সবরকমভাবেই পাশে থাকবে। আর সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতকে সবরকমভাবে সহায়তা করা হবে। আজ পাকিস্তানের নাম না করেও প্রধানমন্ত্রী মোদি যৌথ বিবৃতিতে স্পষ্ট পুলওয়ামার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নিন্দা করেন। কিন্তু সৌদি রাজকুমারের বিবৃতিতে বলা হয় তাঁর দেশ প্রয়োজনে গোয়েন্দা বার্তা আদানপ্রদান করবে সন্ত্রাস প্রতিরোধে। এবং সেটা শুধু ভারতের সঙ্গেই নয়, প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গেও। তিনি বলেছেন, আমাদের সকলকে একই সঙ্গে লড়াই করতে হবে সন্ত্রাসের মেকাবিলায়। বস্তুত সৌদি আরব ভারতের বহু পুরনো বন্ধু। তাই আরও কড়া কোনও মন্তব্য আশা করেছিল ভারত। যদিও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পুলওয়ামার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন সৌদি প্রিন্সও।