পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার শুনানি চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হন পাক অ্যাড হক বিচারক তাসাদ্দক হুসেন গিলানি। ৬৯ বছর বয়সি এই বিচারকের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মামলার শুনানি স্থগিত করার আর্জি জানায় পাকিস্তান। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে অ্যাড হক বিচারকের অনুপস্থিতিতেই মামলার শুনানি চালানোর পক্ষে রায় দেয় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত।
একদিন আগেই কুলভূষণ যাদব মামলায় পাকিস্তানের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে ভারত। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন ভারতের তরফে তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করল পাকিস্তান। জানানো হয়েছে, ভারতের তরফে দাবি করা হলেও কুলভূষণ যাদব প্রকৃতপক্ষে ব্যবসায়ী নন। তিনি একজন ভারতীয় গুপ্তচর।
সোমবার থেকে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে কুলভূষণ যাদবের মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ তুলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের একটি সামরিক আদালত। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। চারদিনের মামলার শুনানির প্রথমদিনে ভারতের হয়ে সওয়াল করেন প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল হরিশ সালভে। জবাবে এদিন পাকিস্তানের হয়ে সওয়াল শুরু করেন আইনজীবী খোওয়ার কুরেশি। তিনি জানান, পাকিস্তান সম্পর্কে ভারতের কোনও ধারনা নেই। বিশ্বশান্তি রক্ষার জন্য পাকিস্তানের বহু সেনা প্রাণ দিয়েছেন। কুলভূষণের যাদবের মামলাটি নিয়ে ভারত ‘রাজনৈতিক থিয়েটার’ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাক আইনজীবীর দাবি, ভারতীয় নৌবাহিনীর এই প্রাক্তন আধিকারিক প্রকৃতপক্ষে ব্যবসায়ী নন, একজন গুপ্তচর। সন্ত্রাস ছড়াতেই ভারত কুলভূষণকে ব্যবহার করছে বলেও জানান কুরেশি।
চরবৃত্তির অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ কুলভূষণ যাদবকে বালুচিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পাকিস্তান। তাদের দাবি, পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ নথি ও তথ্য ভারতে পাচার করার পাশাপাশি অন্তর্ঘাতমূলক কাজের উদ্দেশে ইরান থেকে সেদেশে এসেছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর এই প্রাক্তন আধিকারিক। যদিও ইসলামাবাদের সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে দিল্লি জানায়, নৌবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর ব্যবসায়িক কাজে ইরানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। ভুয়ো নথি দেখিয়ে কুলভূষণকে পাকিস্তান মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে জানায় ভারত। এরপরেই ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ৪৮ বছর বয়সি এই ভারতীয়ের বিরুদ্ধে চরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে মামলা শুরু করে পাকিস্তান। এই মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের একটি সামরিক আদালত। পাক আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান যাদবের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে না বলে জানানো হয়।