গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সুষমা স্বরাজকে পাঠানো ওই শোকবার্তায় চীনের বিদেশমন্ত্রী লিখেছেন, ‘কাশ্মীরে ওই ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলায় প্রচুর মানুষের মৃত্যুর খবর শুনে আমি চমকে গিয়েছি।’ এরপরই শহিদ জওয়ানদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। সব ধরনের সন্ত্রাসবাদী হামলারই কঠোর বিরোধিতা করে চীন।’ এরপরই কৌশলে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ এড়িয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই অঞ্চলের দেশগুলিকে নিজেদের মধ্যে অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে। তাদের যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যাতে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় থাকে।’
রাষ্ট্রসঙ্ঘ জয়েশ-ই-মহম্মদকে আগেই জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু, এই সংগঠনের প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করার যে দাবি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছে ভারত, তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। এর পিছনে চীনের লাগাতার বিরোধিতাকেই দায়ী করেছে নয়াদিল্লি। নিরাপত্তা পরিষদ যদি মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দিয়ে দেয়, তাহলে এই জঙ্গিনেতার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। পাশাপাশি, তার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে। আর এখানেই পাক-ঘনিষ্ঠ চীন আপত্তি জানিয়েছে। বেজিংয়ের দাবি, মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তালিকায় ফেলার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত কিছু ত্রুটি রয়েছে।
পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল ভারত। যদিও, ইসলামাবাদের তরফে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই হামলায় তারা ‘প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন’, শুধু এটুকু বলেই দায় সেরেছে ইমরান খানের সরকার। তবে, ভারত সরকারও বসে নেই। বাণিজ্যক্ষেত্রে পাকিস্তানকে ‘বিশেষ সুবিধাভোগী রাষ্ট্রের’ যে তকমা দিয়েছিল নয়াদিল্লি, তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সারা বিশ্ব থেকে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু করতেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে খবর মিলেছে।