পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এরপরই ১১ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সীমান্ত এলাকা রাজধানীর মাতুয়াইল থেকে তাজুল ইসলাম সাগর নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পেটের ভিতরে মেলে দুই হাজারের বেশি ইয়াবা। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে পেটের ভিতর থেকে ওই ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আগে পেটের ভেতর করে সোনা পাচারের ঘটনা ঘটত। সম্প্রতি মাদক পাচারকারীরা পেটের ভিতরে করে ইয়াবা পাচারের কৌশল নিয়েছে। ২০-৩০টি ইয়াবার পোটলা বেলুনের ভিতরে ভরে তা জল দিয়ে গিলে খেয়ে ফেলে। এভাবে বিপুল ইয়াবা পেটে ভরে পাচার করে তারা। পরে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে তা বের করা হয় মলত্যাগের মাধ্যমে। চোরাকারবারিরা সাধারণ বহনকারীদের অর্থের লোভ দেখিয়ে প্রাণঘাতী এই কৌশলে ইয়াবা বহন করছে। ইয়াবা পাচারের নতুন কৌশলে হতবাক গোয়েন্দারা।
ঢাকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্তারা বলছেন, পেটের ভিতর ইয়াবা বহনের প্রবণতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। লোভে পড়ে মাদক চোরাকারবারিরা আত্মঘাতী এই কৌশল বেছে নিচ্ছে। কারণ, কক্সবাজার থেকে একটি চালান ঢাকায় আনতে পারলে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পায় বহনকারিরা। বিভিন্ন সময়ে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরাও বলেছে, অর্থের লোভেই তারা এমন ভয়ঙ্কর কৌশল বেছে নিয়েছে। গত দুই বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৫০ জন মাদক বহনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের পেটের ভিতর থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ দিকে মাদক পাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্যতম ধনী জেলা নারায়ণগঞ্জকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করায় এই অঞ্চলে মাদকের বিস্তার রোধ কোনওভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। পুলিসের অভিযানের মুখে কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও পরে পুরোদমে আবার শুরু হয় মাদক পাচার। নারায়ণগঞ্জের সাতটি থানার মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা ও রূপগঞ্জ থানা এলাকা সরাসরি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলা দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রূপগঞ্জ উপজেলা হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং নদীপথে নারায়ণগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে বিভিন্ন জেলার আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা চালু আছে। রাজধানী ঢাকা লাগোয়া শহর হওয়ায় ভারত ও মায়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো হয়ে নারায়ণগঞ্জকে নিরাপদ ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক কারবারিরা। ভারত থেকে ফেনসিডিল আর মায়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার হয়ে যেসব মাদক বাংলাদেশে আসে সেগুলোর ডিস্ট্রিবিউশন (বণ্টন) পয়েন্ট হিসেবে মাদককারবারিরা নারায়ণগঞ্জকেই ট্রানজিট রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে।