কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি উপত্যকার ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ এই জঙ্গি হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিশ্বের সমস্ত প্রান্তে নিন্দার ঝড় বয়েছিল। বাদ যায়নি ব্রিটেনও। বহু ব্রিটিশ এমপি সরাসরি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ওই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করেন। কনজারভেটিভ পার্টির এমপি তথা ‘গ্লোবাল ব্রিটেন অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শীর্ষক চলতি পার্লামেন্টারি এনকোয়ারির চেয়ারম্যান টম টুঘেনডাট ট্যুইটারে লেখেন, ‘কাশ্মীরের জঙ্গিহানার ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই পাশবিক অপরাধের বলি হয়েছেন যে জওয়ানরা, তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
আর এক টোরি এমপি তথা ব্রিটিশ হিন্দুদের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) নেতা বব ব্ল্যাকম্যানও ভারতের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে ট্যুইটারকেই হাতিয়ার করেন। লেখেন, ‘পুলওয়ামা হামলা: ভারতের উচিত পাকিস্তানকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। আমরা ভারতের পক্ষে রয়েছি। এই হামলার জন্য দায়ী জঙ্গিদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করার সময় এসেছে।’ অন্যদিকে, বিরোধী লেবার পার্টির ভারতীয় বংশোদ্ভূত এমপি বীরেন্দ্র শর্মাও এই হামলার তীব্র নিন্দা করেন। তবে, এই জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ‘ভারতশাসিত কাশ্মীর’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করায় বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি। বীরেন্দ্রর কথায়, ‘ব্রিটিশ বিদেশ সচিব নিহত জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে। কিন্তু, সেখানে তিনি ভারতশাসিত কাশ্মীর শব্দবন্ধটি ব্যবহার করায় আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি।’ তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ বিদেশ সচিবকে চিঠি লিখে আবারও জানিয়েছেন, ১৯৪৭ সালে অন্তর্ভুক্তির পর থেকে কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবেই থেকে গিয়েছে। লন্ডনের ডেপুটি মেয়র আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজেশ আগরওয়াল বলেন, ‘আমরা ভারতের নাগরিকদের পাশে সহমর্মিতার সঙ্গে রয়েছি। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বলি যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল।’
অন্যদিকে, লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের একটি মন্তব্যে স্থানীয় ভারতীয় সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। করবিন জানান, এই কঠিন সময়ে তিনি এবং তাঁর দল কাশ্মীরবাসীর (ভারত নয়) সঙ্গে রয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্রিটেনে তাঁর দল ক্ষমতায় এলে এই বিতর্কে রাজনৈতিক সমাধানসূত্র বের করতে সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। করবিন বলেন, ‘কাশ্মীরে হিংসায় ৪৪ জনের মৃত্যুতে আমি উদ্বিগ্ন। সেই সমস্ত পরিবার, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে লেবার পার্টি। আমরা কাশ্মীরবাসীর সঙ্গে আছি। সরকারে এলে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়ে এই বিষয়ে রাজনৈতিক সমাধানসূত্র বের করতে আমরা উদ্যোগী হব।’ করবিনের এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছেন উদ্যোগপতি তথা কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ডা. রামি রেঞ্জার। তিনি বলেন, ‘সমগ্র ভারতবাসীর পাশে দাঁড়ানো উচিত আপনার। কারণ, এই হামলায় যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁরা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন।’