ইসলামাবাদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি: প্রাথমিক তদন্তের সব সূত্র বলছে, পাকিস্তানে বসে হামলার নির্দেশ দিয়েছে মাসুদ আজহার। হামলার ছক কষা হয়েছে পাকিস্তানে জয়েশ-ই-মহম্মদের হেড কোয়ার্টার থেকে। আর শুক্রবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোষণা, বদলা নিতে সেনাবাহিনীর হাত পুরোপুরি খোলা রয়েছে। এই অবস্থায় রীতিমতো ইঁদুরের গর্তে ঢুকে যাওয়ার দশা পাকিস্তানের। পিঠ বাঁচাতে ইসলামাবাদের সাফাই, তদন্ত ছাড়া তাদের দোষারোপ করা যাবে না। পুলওয়ামা হামলার পর গোটা আন্তর্জাতিক মহল যেভাবে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে কোণঠাসা ইসলামাবাদ। পাকিস্তানকে একঘরে করার লক্ষ্যে কূটনৈতিক স্তরে চাপ বাড়াতে শুরু করেছে ভারত। দেউলিয়া পাকিস্তানকে আর্থিকভাবে আরও পঙ্গু করার লক্ষ্যে ইসলামাবাদের কাছ থেকে এমএফএন মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। সর্বগ্রাসী চাপের মুখে পড়ে গলা শুকাতে শুরু করেছে ইমরান সরকারের। পুলওয়ামা হামলা নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় তা আরও স্পষ্ট হল। মুখ রক্ষার তাগিদে পাক বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, পুলওয়ামার হামলা বড় উদ্বেগের বিষয়।
পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াতে পারে, তা ভালো মতোই টের পাচ্ছে ইসলামাবাদ। আর এই অবস্থায় প্রবল চাপের মুখে পড়ে বিবৃতি জারি করল পাক বিদেশ মন্ত্রক। সেখানে বলা হল, আমরা সর্বদা হিংসার নিন্দা করি। তা সে বিশ্বের যেখানেই হোক না কেন। তদন্ত ছাড়াই এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগ থাকার যে ইঙ্গিত ভারত সরকার ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে দেওয়া হচ্ছে, তা আমরা সম্পূর্ণভাবে খারিজ করছি। উপত্যকায় ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনাকে সব সময় নিন্দা জানিয়েছি আমরা।